পসরা। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
রাতে শুধু ঘণ্টা দুয়েক, বাজি পোড়ানোর ব্যাপারে সময় বেঁধে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। তার প্রভাব পড়েছে বাজির বাজারেও, দাবি বিক্রেতাদের।
কাটোয়া স্টেশন বাজার ও নিচুবাজারে কিছু দোকানে পাইকারি ও খুচরো বাজি বিক্রি হয়। সব দোকানেই এ বার আতসবাজির পসরা রয়েছে। কিছু জায়গায় লুকিয়ে-চুরিয়ে কালীপটকা বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। যদিও বিক্রেতারা তা মানতে নারাজ। স্টেশন বাজারের দুই বাজি বিক্রেতা জানালেন, এ বার তারাবাতি, রংমশালই বিক্রি করছেন তাঁরা।
তবে বাজি পোড়ানোর সময় বেঁধে দেওয়ায় বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে বলে দাবি অনেক ব্যবসায়ীর। নিচুবাজারের বিক্রেতা মুক্ত দত্তের কথায়, ‘‘কালীপটকার ক্রেতা এত দিন বেশি ছিল। নিষেধাজ্ঞার পরে বিক্রি কমেছে অনেকটাই। শব্দবাজি বিক্রি করছি না। গত বারের তুলনায় আতসবাজিও ৪০ শতাংশ কম এনেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, জিএসটি-র জেরে বাজির দাম বেড়েছে। ১৮ শতাংশ জিএসটি দেওয়ার পরে বাজি বিক্রি করে আর তেমন লাভ হয় না, দাবি তাঁর। তবে এ বার রঙবেরঙের সুগন্ধি মোম ভাল বিকোচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
কলেজ পড়ুয়া সৌম্যদীপ গুহ, প্রদীপ্ত সাহারা বলেন, ‘‘কোর্ট নির্দেশ দিলে তো মানতেই হবে। তাই বেশি বাজি কিনিনি।’’ বাজি পোড়ানোয় কড়াকড়ি হওয়ায় খুশি পশুপ্রেমীরা। কাটোয়া আদালতের আইনজীবী তথা কুকুরপ্রেমী নির্মল মণ্ডলের কথায়, ‘‘শব্দবাজির আওয়াজে কুকুরদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। ওরা ভয়ে কাঁপতে থাকে। অনেকে পশুদের সঙ্গে বাজি নিয়ে অভব্যতাও করে। আদালতের কড়াকড়িতে সে সবে রাশ পড়বে বলে আশা করছি।’’