পানাগড়ে বাইপাসের কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত সিন্ডিকেট

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি এবং সিন্ডিকেটের জোরাজোরি এই সাঁড়াশি চাপে পড়ে পানাগড়ে বাইপাস রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি ঠিকাদার সংস্থার। মঙ্গলবার এলাকারই কিছু বাসিন্দা নিয়োগের দাবিতে প্রকল্প-এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। তখনই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও কাজ শুরু হয়নি। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব না মেনে, নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়োগের অভিযোগ এনেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:২৬
Share:

বিক্ষোভের জেরে বাইপাসে বন্ধ কাজ। নিজস্ব চিত্র

স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি এবং সিন্ডিকেটের জোরাজোরি এই সাঁড়াশি চাপে পড়ে পানাগড়ে বাইপাস রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি ঠিকাদার সংস্থার। মঙ্গলবার এলাকারই কিছু বাসিন্দা নিয়োগের দাবিতে প্রকল্প-এলাকায় বিক্ষোভ দেখান। তখনই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও কাজ শুরু হয়নি। বিক্ষোভকারীরা অবশ্য সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব না মেনে, নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বহিরাগত নিয়োগের অভিযোগ এনেছেন। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) কস্তুরী সেনগুপ্তের আশ্বাস, “দ্রুত কাজ শুরুর ব্যবস্থা করা হবে।”

Advertisement

সিন্ডিকেট ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়োগের দাবি ঘিরে আগেও সঙ্কট তৈরি হয়েছে রাজ্যের নানা শিল্পে। রাজারহাট-নিউটাউনের নির্মাণ সংস্থা থেকে ভাঙড়ের জুতো কারখানা গা-জোয়ারিতে জেরবার হয়েছে অনেকেই। দুর্গাপুরের প্রতাপপুরের কাগজকলে এই নিয়োগ নিয়ে অশান্তির জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সংস্থার সহকারী প্রকল্প আধিকারিক অশোককুমার সিংহের অভিযোগ, “স্থানীয়দের গড়া সিন্ডিকেট চাপ দিচ্ছে। এমন হলে কাজ করা খুবই মুশকিল।”

কলকাতা থেকে দিল্লি ২ নম্বর জাতীয় সড়ক চার লেন করা হয় ২০০১ সালে। কিন্তু বাসিন্দাদের আপত্তিতে পানাগড়ে প্রায় সওয়া তিন কিলোমিটার রাস্তা চার লেন করা যায়নি। সেখানে জাতীয় সড়ক দু’লেনের রয়ে যাওয়ায় প্রায় সব সময়েই যানজট লেগে থাকে। সমস্যা মেটাতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা করেন। আট কিলোমিটার এই বাইপাস তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হয় গত মে মাসে। তখনই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার কাছে নিয়োগের দাবি জানান এলাকাবাসী।

Advertisement

প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ঠিক হয়, স্থানীয় লোকজনকে অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ দেওয়া হবে। বাসিন্দারা কাজের জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন করবেন। প্রশাসন তা খতিয়ে দেখে পাঠালে প্রয়োজন মতো নিয়োগ করবে সংস্থাটি। সেই মতো নিয়োগও হয়েছিল। কিন্তু, ন্যূনতম মজুরি না দেওয়ার অভিযোগে অগস্টে কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় ঠিকা শ্রমিকেরা। মহকুমাশাসকের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো সমস্যা মেটে। কাঁকসা, ধোবারু, গোবিন্দপুর, আমানিডাঙা, ঝিনুকগড়ের গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, মজুরি কম পেলে স্থানীয় শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন। তা এড়াতে ভিন্ রাজ্য থেকে লোক আনছে সংস্থা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন