উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা ও পরীক্ষার মূল্যায়ণ নিয়ে শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। অথচ, সরকার অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের শিবিরে ডাকা হয়নি। খাতা দেখার জন্য সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের মতো তাঁদেরও শিবিরে ডাকার দাবি তুলেছেন ওই সব স্কুলের শিক্ষকেরা।
জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে জেলার ৩৮২টি সরকার পোষিত স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষকদের নিয়ে বর্ধমানের আদর্শ বিদ্যালয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির। স্কুলকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক জন করে শিক্ষককে পাঠাতে বলা হয়েছিল। সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে খাতা দেখতে হবে, ঠিক মূল্যায়ন করতে হবে, সে ব্যাপারে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বেসরকারি নানা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো শিবির শুরুর আগে তাঁদের কাছেও ডাক আসবে। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশ ওই সব স্কুলের শিক্ষকেরা। দুর্গাপুরের ডিআইসিভি পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষা দেবযানী বসুর প্রশ্ন, ‘‘আমাদের স্কুলের তিন জন শিক্ষক খাতা দেখেন। প্রশিক্ষণের সুযোগ না পেলে খাতা দেখা নিয়ে নির্দেশিকা কী ভাবে জানা যাবে?’’ এমএএমসি মডার্ন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্কুলের ১৪ জন খাতা দেখেন। আমি প্রধান পরীক্ষক, সেন্টার সেক্রেটারিও। আমাদের স্কুলে মেন ভেনু হয়। এত দায়িত্ব আমরা নিতে পারি। অথচ, প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হল না!’’ বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর বয়েজ-এর অধ্যক্ষ রথীন চট্টোপাধ্যায়ও জানান, তাঁদের ১০ জন শিক্ষক খাতা দেখেন। প্রধান পরীক্ষকও রয়েছেন। অথচ, শিবিরে ডাকা হয়নি।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, এই রকম বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা হাতে গোনা। প্রথম ধাপে সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের ডাকা হয়েছে। পরের ধাপে ওই স্কুলগুলির শিক্ষকদেরও সুযোগ দেওয়া হবে।