ভাড়াটের তথ্য এ বার ‘সুবিধা’য়

গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি। তাতে রয়েছে ‘রিপোর্ট ইন্সিডেন্ট’, ‘ট্র্যাফিক স্টেটাস’, ‘এসওএস’, ‘টেনান্ট রেজিস্ট্রেশন’, ‘সারভেন্ট রেজিস্ট্রেশন’, ‘এমার্জেন্সি সার্ভিসেস’ বিভাগ।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৫৩
Share:

বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁসফাঁস যানজটে। এমন পরিস্থিতি আর হবে না। পথ-পরিস্থিতি আগেই জানাবে অ্যাপ। সেখানে থাকছে সব থানার ‘অফিসার ইনচার্জ’, হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা-সহ নানা জরুরি সব নম্বর। চটজলদি মুশকিল আসান করতে সম্প্রতি ‘সুবিধা’ অ্যাপ চালু করল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেখানে ভাড়াটেদের বিষয়েও তথ্য নথিবদ্ধ করা যাবে।

Advertisement

গুগল প্লে-স্টোরে গিয়ে ডাউনলোড করা যাবে অ্যাপটি। তাতে রয়েছে ‘রিপোর্ট ইন্সিডেন্ট’, ‘ট্র্যাফিক স্টেটাস’, ‘এসওএস’, ‘টেনান্ট রেজিস্ট্রেশন’, ‘সারভেন্ট রেজিস্ট্রেশন’, ‘এমার্জেন্সি সার্ভিসেস’ বিভাগ। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে তা সংশ্লিষ্ট থানায় দ্রুত জানানো যাবে প্রথম বিভাগটিতে। দ্বিতীয় বিভাগটিতে জানা যাবে, রাস্তার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি। কমিশনারেটের সব থানার অফিসার ইনচার্জের মোবাইল নম্বর জানা যাবে ‘এসওএস’-এ। টেনান্ট রেজিস্ট্রেশন বিভাগে বাড়ির মালিকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ভাড়াটের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জন্মতারিখ, ভোটার কার্ড, আধার ও মোবাইল নম্বর নথিবদ্ধ করা যাবে। শেষের বিভাগটিতে ভিন্-জেলা বা রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা লোক জনের যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ করতে পারবেন কাজে নিয়োগকারী। যাবতীয় হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলকেন্দ্র, বিদ্যুতের অফিসের নম্বর জানা যাবে শেষ বিভাগটিতে।

শেষের দু’টি বিভাগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। কারণ, তাঁদের দাবি, অতীতে দেখা গিয়েছে, দুর্গাপুর-আসানসোলে বহু অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত বহিরাগত লোক জন, যাঁরা কয়েক দিন শহরে ভাড়া থেকেছেন। যেমন, ২০১২ সালে আসানসোলের মহিলা থানার তৎকালীন ওসি-র বাবাকে খুনের ঘটনায় ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের কয়েক জন। তাঁরা দুর্গাপুরে নির্মাণকর্মী হিসেবে কয়েক দিন ভাড়া থেকেছিলেন।

Advertisement

এমন ঘটনায় দুষ্কৃতীদের বিষয়ে তথ্য থাকলে তদন্তে সুবিধা হয়, মত পুলিশকর্তাদের। এর আগে খাগড়াগড়-কাণ্ডের পরে ভাড়াটেদের বিষয়ে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হয় কমিশনারেট। তার জন্য, ভাড়াটের ছবি, স্থায়ী ঠিকানা, ব্যক্তি-পরিচয়, কার মাধ্যমে শহরে এসেছেন ইত্যাদি তথ্য জানতে বাড়ি মালিকদের ফর্ম দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থানায় গিয়ে সেই ফর্ম জমা দেওয়ার হ্যাপা মালিকেরা পোহাননি বলে দাবি পুলিশের। দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি খুন, ডাকাতি, লুঠপাটের ঘটনায় তদন্তকারীদের দাবি, অনেক সময়েই দেখা যায়, বাড়ির মালিকই ভাড়াটের বিষয়ে ঠিক মতো তথ্য দিতে
পারেন না।

এক কর্তার দাবি, অ্যাপ চালুর ফলে এ বার থেকে থানায় আসার ‘ভোগান্তি’ থেকে মুক্তি পাবেন শহরবাসী। পুলিশের পক্ষেও তথ্য জানাটা অনেক সহজ হবে। অ্যাপটিকে জনপ্রিয় করতে দ্রুত প্রচারেও নামবেন কমিশনারেটের কর্তারা। পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, ‘‘সব কিছু ডিজিটাইজড করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন