অনুষ্ঠানে: শনিবার ধাত্রীগ্রামে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র
ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথা বলার জায়গা, কাঁচামাল বেচা-কেনা থেকে শুরু করে সুতোর রং করার কেন্দ্র, সবই হবে এক ছাদের তলায়। শনিবার কলনা ১ ব্লকে তাঁতের কাপড়ের হাটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এমনই দাবি করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের জন্য বস্ত্র দফতর ৩ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে।
মহকুমা প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলী ১ ব্লকে ‘তন্তুজে’র গুদামঘরের জমিতে ৭ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এমন একটি হাট তৈরি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তিন তলা ভবনের ওই হাটে হ্যান্ডলুম অফিস, রং, সুতোর দোকান, সুতোয় রং করার কেন্দ্র-সহ নানা কিছু রয়েছে।
কালনা মহকুমাতেই ফের এমন একটি হাট তৈরির উদ্যোগ কেন? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর কারণ ধাত্রীগ্রামে রয়েছেন প্রচুর তাঁতি। যাঁদের তৈরি তাঁত রাজ্য তো বটেই, দেশেরও নানা জায়গায় সমাদৃত। এই প্রকল্পের জন্য এসটিকেকে রোডের ধারে জমি দিয়েছে পূর্ত দফতর। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘সরকারি উদ্যোগে তাঁত হাট তৈরির উদ্যোগে ভারতবর্ষে আমরাই প্রথম। পূর্বস্থলী, ধাত্রীগ্রাম ও নবদ্বীপে একটি হাট রয়েছে। এমন হাটগুলি থেকে বর্ধমান, হুগলি, নদিয়ার তাঁতিরা উপকৃত হবে।’’
এমন হাটগুলির সুবিধা কী কী? প্রশাসনের দাবি, সাধারণ তাঁতিরা বিক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন। অপেক্ষাকৃত কম দামে তাঁতিরা কাঁচামালও পাবেন। প্রশাসনের আশা, ধাত্রীগ্রামের প্রকল্পটি ২০১৮-র ডিসেম্বরে শেষ হবে। এই প্রকল্প এলাকার মধ্যেই ফাঁকা জমিতে ভেষজ বাগান তৈরিরও পরিকল্পনা নিয়েছে ‘তন্তুজ’। কারণ, মন্ত্রীর দাবি, ভেষজ রং এখন শাড়িতে ভীষণ জনপ্রিয়। এই বাগান থেকেও তাঁতিরা উপকৃত হবেন বলে আশা। এ দিনই হাটের প্রকল্প চত্বরে বেশ কিছু গাছের চারাও রোপণ করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে তাঁতিদের শাড়ির পাশাপাশি গজ, ব্যান্ডেজ প্রভৃতি তৈরিরও পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ দিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও যোগ দেন তন্তুজের এমডি রবীন্দ্রনাথ রায়, হ্যান্ডলুমের জয়েন ডিরেক্টর অসিতবরণ মাইতি, তন্তুজের ডিরেক্টর তুলসি সিংহরায়, মহকুমাশাসক (কালনা) নীতিন সিংহানিয়া প্রমুখ।