চুরি ও চুরির চেষ্টা ছ’টি বাড়িতে, ক্ষোভ

পরপর চারটি বাড়িতে চুরি ও দু’টি বাড়িতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ইসিএলের কুনস্তোরিয়া এরিয়ার কুনস্তরিয়া কোলিয়ারি শিবমন্দিরপাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৩
Share:

কুনস্তরিয়ায় শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

পরপর চারটি বাড়িতে চুরি ও দু’টি বাড়িতে চুরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ইসিএলের কুনস্তোরিয়া এরিয়ার কুনস্তরিয়া কোলিয়ারি শিবমন্দিরপাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

খনিকর্মী শঙ্কর পাসোয়ান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের পালিতে তিনি কাজ করতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। চুরি গিয়েছে নগদ টাকা-সহ বেশ কিছু জিনিসপত্র। ষষ্ঠী দাসও জানান, তিনিও রাতের পালিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি ফিরে দেখেন, মূল্যবান নথিপত্র তছনছ করা রয়েছে। রাতে বাড়িতে না থাকায় পার্থ চক্রবর্তীর বাড়ির দরজার তালা ভেঙে নগদ টাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ। মহম্মদ আজাদ তাঁর আদিবাড়ি ঝাড়খণ্ডের মধুপুরে গিয়েছিলেন। তাই তাঁর বাড়িতে কী চুরি গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি বলে জানায় পুলিশ। জয়দেব রুইদাস নামে এক জন বলেন, “দুষ্কৃতীরা দরজায় কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে দরজায় আঘাত করে। তখনই ভাই জেগে ওঠে। দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।’’ পেশায় দিনমজুর প্রেমচন্দ গৌড় বলেন, “পাশাপাশি আমার দু’টি বাড়ি রয়েছে। একটা বাড়িতে তালা লাগানো ছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দরজা ভাঙার আওয়াজ পাওয়ায় চিৎকার করি। প়ড়শিরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখা যায়, মুখ ঢাকা দু’জন ছুটে পালাচ্ছে।’’

এই ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাগরিকেরা। এই পাড়া ও জামুড়িয়া থানা এলাকায় চুরির ঘটনা নতুন নয় বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা সূরয প্রসাদ জানান, এক বছর আগে এই একই পাড়ায় পাঁচ জনের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ২০১৮-র ১২ ডিসেম্বর কুনস্তরিয়া কালী মন্দির ও স্টোর কলোনি এলাকায় একই রাতে পাঁচটি খনিকর্মী আবাসনে চুরি হয়। তারও মাসখানেক আগে জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকার মর্ডান সাতগ্রাম এলাকার পাঁচটি খনিকর্মী আবাসনে একই রাতে চুরির

Advertisement

ঘটনা ঘটেছিল।

বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো দরকার। রাতভর, শুধুমাত্র মূল রাস্তাগুলিতেই টহলদারি চালায় পুলিশ। বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার সবকটি সংযোগকারী রাস্তাতেও পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করতে হবে। জামুড়িয়া থানা যদিও জানিয়েছে, প্রতিটি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (‌সেন্ট্রাল) সায়ক দাস বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু চুরির ঘটনার কিনারা করা হয়েছে। পুলিশের টহলদারিও

বাড়ানো হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement