কাটোয়া স্টেশনে জিএম। নিজস্ব চিত্র
চলতি আর্থিক বছরেই কাটোয়া-বর্ধমান ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। শনিবার কাটোয়া স্টেশন পরিদর্শনে এসে এমনই আশ্বাস দিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার হরবিন্দ রাও। জিএম-র এই আশ্বাসে ইতিমধ্যেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন যাত্রীরাও। তাঁদের আশা, দীর্ঘ সময় পরে অবশেষে হয়তো চালু হবে এই লাইনে ট্রেন চলাচল।
দুপুর তিনটে নাগাদ বিশেষ পরিদর্শন ট্রেনে চ়়ড়ে কাটোয়া স্টেশনে আসেন জিএম। বেশ কিছুক্ষণ ধরে স্টেশন ম্যানেজারের ঘর, স্টেশন চত্বর ঘুরে দেখেন জিএম। কাটোয়া রেল গেটে উড়ালপুল তৈরির কাজ শুরুর দাবিতে জিএম-র কাছে স্মারকলিপি দেয় ডিওয়াইএফ। সম্প্রতি রেল দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যমন্ত্রী রাজেন গোহেন উড়ালপুল তৈরি হবে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন কাটোয়ার বিধায়ক।
এ ছাড়া আজিমগঞ্জ লাইনের টেঁয়া স্টেশনের দক্ষিণে লেভেল ক্রসিং, নবগ্রাম-কাঁকুরহাটি হল্ট স্টেশনের সাবওয়ে ও সংযোগকারী রাস্তা তৈরি ও অজয় রেলসেতুর উপরে পশ্চিমে কমপক্ষে ছ’ফুট লম্বা সেতুর দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেয় আজিমগঞ্জ-কাটোয়া লাইনের যাত্রী সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি আনওয়ারুল আলম বলেন, ‘‘ভোরে হাওড়া পৌঁছতে ইন্টারসিটিই ভরসা। তারও আগে হাওড়া যেতে আজিমগঞ্জ থেকে হাওড়াগামী গ্যালোপিন প্যাসেঞ্জার ট্রেন দরকার।’’ এছাড়াও মুর্শিদাবাদের সালার স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নতি, ডেমো কোচে ‘মহিলা’ সংরক্ষিত কামরায় ‘মহিলা’ লিখে চিহ্নিতকরণ প্রভৃতির দাবি জানানো হয়। সব কটি বিষয় খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন জিএম। সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘চলতি আর্থিক বছরেই কাটোয়া-বলগোনা ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’’
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত কাটোয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পকে সামনে রেখে এই রেলপথকে ছোট থেকে বড় করার উদ্যোগ করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান-কাটোয়া রেলপথের একাংশ বর্ধমান থেকে বলগোনা আগেই ব্রডগেজ হয়ে গিয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই কাটোয়া থেকে বলগনা পর্যন্ত লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ এবং কাটোয়া থেকে বলগনা পর্যন্ত ছ’টা স্টেশন, সেতু, তিন জায়গায় রেল ক্রসিং তৈরির কাজও প্রায় শেষের মুখে। জিএম-র এই আশ্বাসের পরে স্থানীয় বাসিন্দা পূরবোধি মুখোপাধ্যায়, আশিস রায়েরা বলেন, ‘‘আমরা খুবই খুশি। আশা করছি, দ্রুত ট্রেন চালু হবে এই লাইনে। বাড়বে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও।’’
এ ছাড়াও কাটোয়া-আমোদপুর ডবল লাইন চালু করার বিষয়েও চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ
করেন জিএম।