কনস্টেবল নিয়োগ চক্রে ধরা পড়লেন পুলিশকর্মী

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম রাজু সরকার, জয়গোপাল শর্মা ও মনোজ বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি যথাক্রমে নদিয়ার দুর্গাপুর, কোতোয়ালি ও হাঁসখালি থানা এলাকায়। রাজু কলকাতা পুলিশের ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল এবং এক পুলিশ কর্তার গাড়ির চালক বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

আদালতে ধৃতেরা। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় ‘মাইক্রো ব্লু-টুথ ডিভাইস’ ব্যবহার করে কারচুপির অভিযোগে আগেই চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার মামলার তদন্ত ভার নিয়ে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃতদের এক জন কলকাতা পুলিশের কর্মী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম রাজু সরকার, জয়গোপাল শর্মা ও মনোজ বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি যথাক্রমে নদিয়ার দুর্গাপুর, কোতোয়ালি ও হাঁসখালি থানা এলাকায়। রাজু কলকাতা পুলিশের ফার্স্ট ব্যাটেলিয়ানের কনস্টেবল এবং এক পুলিশ কর্তার গাড়ির চালক বলেও জানা গিয়েছে। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের সিআই়ডি হেফাজত হয়। আগে ধৃত চার জনকেও এ দিন আদালতে তোলা হয়। তাঁদের পাঁচ দিনের সিআই়ডি হেফাজত হয়।

সম্প্রতি কনস্টেবল নিয়োগের পরীক্ষায় কাটোয়া কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ধরা হয় চিন্ময় ঘোষ ও কাটোয়ার রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ধরা হয় অচ্যুত ঘোষ নামে দুই যুবককে। চিন্ময়ের বাঁ হাতের ব্যান্ডেজ ও অচ্যুতের জুতোর শুকতলার মধ্যে থেকে ডেবিট কার্ডের মতো দেখতে একটি ‘মাইক্রো ব্লু-টুথ ডিভাইস’ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে কানে লাগানো ছিল ছোট যন্ত্র। পুলিশের দাবি, তাঁদের জেরা করে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার একটি চক্রের হদিস মেলে। কয়েকদিন আগে সেই চক্রের অন্যতম সুশীল বিশ্বাস নদিয়ার হাঁসখালিতে, নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৭ তারিখ মামলার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। তারপরেই আরও তিন জনকে ধরা হয়। জানা গিয়েছে, রাজুই ওই চক্রের মাথা ছিলেন। আবেদনপত্র দেখেই কোন প্রার্থীর চাকরি কতটা প্রয়োজন বুঝে ‘টার্গেট’ করতেন তাঁরা। তাঁর নির্দেশে কাজ করতেন জয়গোপাল ও মনোজ। জানা গিয়েছে, তিন ধাপের পরীক্ষার লিখিত দুটি ধাপে পাশ করিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে টাকা তুলতেন তাঁরা। তবে শারীরিক পরীক্ষা প্রার্থীকে নিজে পাশ করতে হবে তাও জানানো হত। পুলিশ জানায়, নদিয়া থেকে ওই চক্রের একটা বড় অংশ কাজ করত। ধৃতদের জেরা করে আরও জানার চেষ্টা চলছে বলেও পুলিশের দাবি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন