প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায় তিন জন টিএমসিপি সদস্য ও এক জন যুব তৃণমূলের সদস্যকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। কেন এমন বিক্ষোভ, তা ওই সদস্যদের কাছ থেকে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা সভাপতি।
রবিবার জেলা সভাপতি জানান, শনিবার কুলটি কলেজের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই দলের জেলা কমিটির নেতারা বৈঠকে বসেন। সেখানেই সর্বসম্মত ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, টিএমসিপি-র কুলটি ব্লক সভাপতি যতীন গুপ্ত, ছাত্র নেতা অভিষেক চক্রবর্তী ও কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষাল এবং যুব তৃণমূলের জেলা নেতা সৌমেন হাজরা এই ‘শাস্তি’র মুখে পড়েছেন।
অভিষেকের বাবা সুবল চক্রবর্তী ঘটনাচক্রে তৃণমূলের কুলটি ব্লকের কার্যকরী সভাপতি। ছেলের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গে সুবলবাবু বলেন, ‘‘যত দূর জানি ছাত্র-যুবরা কলেজ কর্তৃপক্ষকেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। মন্ত্রী নিজেও তাঁকে বিক্ষোভ দেখানোর কথা মানতে চাননি। এর বেশি কিছু বলছি না।’’
শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ কুলটি কলেজের পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আসেন সমিতির সভাপতি মন্ত্রী মলয়বাবু। অভিযোগ, মন্ত্রীর কলেজে আসার আগে থেকেই কলেজের গেটে কালো পতাকা টাঙিয়ে রাখা হয়। কলেজ চত্বরে মন্ত্রী ঢুকতেই তাঁকে ঘিরে ওই ছাত্র-যুব নেতাদের নেতৃত্বে এক দল পড়ুয়া কলেজে নিয়মিত ক্লাস না হওয়া-সহ বেশ কিছু অভিযোগ করেন। বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।