নিহত সানাউল্লা শেখ। নিজস্ব চিত্র
কেতুগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহের শেখ খুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্যকে পরপর গুলি করে খুনের ঘটনা ঘটল মঙ্গলকোটের নিগনে।
সোমবার সন্ধ্য ছ’টা নাগাদ নিগন বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওই ঘটনাটি ঘটে। বছর পঁয়ত্রিশের সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিমকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাথার দু’পাশে দুটি গুলি লেগেছে তাঁর। মঙ্গলকোটের শিমুলিয়ার বাসিন্দা সানাউল্লা শেখ তৃণমূলের শিমুলিয়া ১ অঞ্চল সভাপতি এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নিগন বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মাছের আড়তে বসেছিলেন ডালিম। অভিযোগ, কয়েকজন হেঁটে এসে খুব কাছ থেকে পরপর তিনটি গুলি ছোড়েন। দুটি গুলি মাথায় লাগতেই লুটিয়ে পড়েন ডালিম। ওই সময়েই রাস্তার উল্টো দিকে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে দু’তিন জন দলের কর্মীও ছিলেন। তাঁদের দাবি, বৃষ্টি পড়ছিল। অন্ধকার হয়ে এসেছিল। আচমকা গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান তাঁরা। গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সানাউল্লা। মেহবুব চৌধুরীর দাবি, কত জন হামলা চালিয়েছে দেখতে পাননি তাঁরা। কোনও গাড়ি বা মোটরবাইকের আওয়াজও পাননি।
দলের মঙ্গলকোট অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, ‘‘রাজনৈতিক কারণেই খুন বলে মনে হচ্ছে। কারা করছে তা তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ পুলিশের দাবি, রাত পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি। নিগনে পুলিশের টহল চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।