TMCP under controversy

পরীক্ষার দিনে মাইক বাজিয়ে কর্মসূচি, বিতর্কে টিএমসিপি

বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে সিমেস্টার চলছে। এ দিন টিএমসিপি রাজ্য থেকে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে বেলা ২টো নাগাদ কর্মসূচি শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩৮
Share:

টিএমসিপি-র বিক্ষোভসভা গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে। —নিজস্ব চিত্র।

পরীক্ষা চলছে, তার মধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের হিউম্যানিটিস ভবনের সামনে মাইক বাজিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করল টিএমসিপি। সোমবার দুপুরে ‘মনোনীত রাজ্যপালের স্বৈরাচারী পদক্ষেপের’ বিরুদ্ধে ওই কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতারাবার বার দাবি করেন, সাধারণ পড়ুয়াদের স্বার্থেই টিএমসিপি এই আন্দোলন করছে। অন্য ছাত্র সংগঠনগুলির কটাক্ষ, ছাত্রদরদী হলে পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে কর্মসূচি পালন করা হতো না।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে সিমেস্টার চলছে। এ দিন টিএমসিপি রাজ্য থেকে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে বেলা ২টো নাগাদ কর্মসূচি শুরু করে। তখনও গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে এডুকেশন, শারীরশিক্ষা ও আইনের পরীক্ষা চলছিল। ৩টে নাগাদ পরীক্ষা শেষ হয়। এবিভিপির বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক রাজেন সেনের অভিযোগ, ‘‘পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে কর্মসূচি করল টিএমসিপি। ছাত্রদরদী হলে শাসক দলের ওই সংগঠন পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ব্যবহার করত না।’’ যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা টিএমসিপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক খোন্দেকার আমিরুল ইসলামের (রামিজ) দাবি, ‘‘কর্মসূচির জায়গা থেকে অনেক দূরে পরীক্ষা হচ্ছিল। পরীক্ষার্থীদের কোনও অসুবিধা হয়নি। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা আমাদের কর্মসূচিতেও এসেছিলেন। কেউ কোনও অভিযোগ করেননি।’’

এ দিনের কর্মসূচিতে টিএমসিপির কো-অর্ডিনেটর ঋতুপর্ণা সিংহ রাজ্যপালের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাটা কেন্দ্র নষ্ট করে দিতে চাইছে। আমাদের রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে রাতারাতি উপাচার্য করে দিল! টিএমসিপি নিজের জন্য নয়, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই এই লড়াইয়ে নেমেছে।’’ বর্ধমান ও বীর‍ভূমের ছাত্র নেতারাও বক্তব্য রাখেন। প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে 'আচার্য' করার দাবি জানিয়েছেন। এবিভিপির বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক বলেন, ‘‘উপাচার্যহীন অবস্থায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, তখন টিএমসিপি কী করছিল? আদালতে গেলেই উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি কি না, টিএমসিপি বুঝে যাবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন