বড় বিল মেটাতে অনুমতি নিতে হবে জেলাশাসকের

শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতগুলি ঠিক নিয়ম মেনে কাজ করছে কি না বা কাজের গুণমাণ ঠিক রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য ব্লক স্তরে একটি কমিটি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২২
Share:

পঁচিশ হাজার টাকা বা তার বেশি বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার থেকে বিডিও-র মাধ্যমে জেলাশাসকের অনুমোদন নিতে হবে পঞ্চায়েতগুলিকে। অনুমোদন পেলে তবেই নির্দিষ্ট কয়েকটি তহবিল থেকে কাজ করানোর পরে বিল দিতে পারবে পঞ্চায়েতগুলি। রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে পঞ্চায়েতগুলিতে।

Advertisement

শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতগুলি ঠিক নিয়ম মেনে কাজ করছে কি না বা কাজের গুণমাণ ঠিক রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য ব্লক স্তরে একটি কমিটি তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ জারির পরে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ উঠত তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষ।

১ ডিসেম্বর এই নির্দেশিকা জারি করে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। তাতে জানানো হয়, চলতি অর্থবর্ষ থেকেই এফএফসি (চতুর্দশ অর্থ কমিশন) এবং পিবিজি বা পারফরমেন্স বেসড গ্রান্ট-এর (এই ফান্ডে থাকছে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের ১০ শতাংশ অর্থ, রাজ্য অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ এবং আইএসজিপি-র তহবিল থেকে বরাদ্দ অর্থ) একটি বড় টাকা পঞ্চায়েতগুলি পাবে। তা যাতে ঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয় এবং পঞ্চায়েত এলাকায় স্থায়ী সম্পদ তৈরি হয়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement

নতুন ওই নির্দেশ অনুযায়ী পঞ্চায়েতগুলিকে এফএফসি এবং পিবিজি ফান্ডে ২৫০০০ বা তার বেশি টাকার বিল দেওয়ার জন্য জেলাশাসকের অনুমোদন নিতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এ জন্য পঞ্চায়েত কোনও কাজ করানোর পরে পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিডিও-কে জানাবে। বিডিও সেই কাজ উপযুক্ত গুণমান বজায় রেখে এবং পদ্ধতি মেনে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন। সে জন্য তিনি ব্লকের কিছু কর্মী ও দু’তিন জন আইএসজিপি-র পরামর্শদাতাদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করবেন। সেই কমিটি কাজটি নিয়ম মেনে হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে এসে বিডিও-কে রিপোর্ট দেবে। কোনও কাজ করার আগে তা পঞ্চায়েতের বার্ষিক কাজের পরিকল্পনায় রাখতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেই পরিকল্পনার বাইরেও কাজ করানো হতো বলে অভিযোগ উঠত। এ বার আর তা করা যাবে না।

কাজটি সমস্ত নিয়ম মেনে হয়েছে কি না, সব দিক খতিয়ে দেখে ব্লক থেকে বিলের অনুমোদনের জন্য জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে। ব্লক স্তরে পুরো প্রক্রিয়া পাঁচ দিনের মধ্যে এবং জেলা স্তরে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে নির্দেশে। তাতে পঞ্চায়েতের কাজকর্মে যেমন আরও গতি আসবে, তেমনি দ্রুত ও স্বচ্ছ ভাবে কাজ হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন