মেডিক্যালে গাড়ি চলায় রাশ

হাসপাতালে হকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হল, কিন্তু সমাধান বেরোল না শুক্রবারও। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা শুধু বলেন, “পুরো বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৪
Share:

বর্ধমান মেডিক্যাল চত্বর ভরেছে টোটোয়। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে হকার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হল, কিন্তু সমাধান বেরোল না শুক্রবারও। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা শুধু বলেন, “পুরো বিষয়টি একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।” তবে আজ, শনিবার থেকে হাসপাতাল চত্বরে যানবাহন চলাচলে রাশ টানা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন) প্রণব বিশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। ডেপুটি সুপার ছাড়াও রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুশান্ত প্রামাণিক, হাসপাতালের মনিটরিং কমিটির সদস্য তথা কাউন্সিলর খোকন দাস ছিলেন বৈঠকে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন হাসপাতাল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিকও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ দিনের বৈঠকে প্রণববাবু সরকারের নির্দেশ মেনে হাসপাতাল থেকে হকার সরানোর ব্যাপারে জোর দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও জানান, রিকশা, টোটো, গাড়ির জন্য রোগীদের গাড়ি ভিতরে ঢুকতে সমস্যায় পড়ছে। হকারদের জন্য হাসপাতাল নোংরা হচ্ছে, দালালিও বাড়ছে।

কয়েক দিন আগে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিতর্কে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বলবাবু ও তাঁর ভাই। জানা গিয়েছে, এ দিনও তাঁরা বারেবারে হকারদের হাসপাতালে প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রণববাবুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রণববাবু স্পষ্ট ভাবে জানান, তিনি সরকারের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন। হাসপাতাল ঘুরে দেখে প্রণববাবু, খোকনবাবুরা বলেন, “হাসপাতালে হকার সমস্যা, অবাধে গাড়ি প্রবেশের সঙ্গে সৌন্দর্যায়নের বিষয়টিও রয়েছে। আমরা সবটাই খতিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

পুরসভাসমূহের বাস্তুকার (এমইডি) দফতর সম্প্রতি বর্ধমান পুরসভাকে হাসপাতালের এলাকা সৌন্দর্যায়নের জন্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দেয়। সেই টাকায় কী ভাবে হাসপাতালের চারপাশ সুন্দর ভাবে সাজানো যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয় পুরসভা। পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ভিতরে কী কী ভাবে সৌন্দর্যায়ন করা যায় সে ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে পরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ভিতর রাধারানি ওয়াড, শিশু ওয়ার্ড, প্রসূতি ওয়ার্ড ও জরুরি বিভাগের সামনে শুধু চা-বিস্কুটের অস্থায়ী স্টল থাকবে। বাকি সব হকারকে তুলে দেবে প্রশাসন। খোকনবাবু জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করে যান নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। রোগী রয়েছে এমন গাড়ি ছাড়া অন্য কোনও গাড়ি প্রবেশের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন