ট্রেন রোজ দেরিতে চলছে, এই অভিযোগে বুধবার ভাঙচুর করা হল গুসকরা স্টেশনে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের বর্ধমান-রামপুরহাট লুপ-লাইনের বোলপুর থেকে খানা জংশন পর্যন্ত ক’টি স্টেশনে অবরোধ হয়। গুসকরাতে দু’ঘণ্টার অবরোধে আটকে যায় হাওড়ামুখী বিশ্বভারতী প্যাসেঞ্জার, গণদেবতা এক্সপ্রেস-সহ ছ’টি ট্রেন। পুলিশ অবরোধ তুলে দিলে টাকা ফেরতের দাবিতে কিছু যাত্রী গুসকরার টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর চালান।
মাস চারেক আগে সাঁইথিয়া থেকে খানা জংশন পর্যন্ত প্রায় ৮৬ কিলোমিটার রেলপথে বৈদ্যুতিকরণ হয়। অভিযোগ, তারপর থেকে বর্ধমান-রামপুরহাট শাখার সব ট্রেন দেরিতে চলছে। ওই শাখার নিত্যযাত্রী সমিতির সম্পাদক অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্টেশন ম্যানেজারদের কাছে বহু বার সময়ে ট্রেন চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি না-পাল্টানোয় বুধবার যাত্রীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়।’’
গুসকরার স্টেশন ম্যানেজার কার্তিকচন্দ্র কোনার বলেন, “রেল পুলিশকে পুরো ঘটনা জানানো হবে।’’ ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করে রেল পুলিশের সুপার (হাওড়া) নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, “ট্রেন দেরিতে চলছে বলে বর্ধমান-রামপুরহাট লাইনের কিছু স্টেশনে অবরোধ হয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগ অবশ্য মেনেছেন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “ওই শাখায় তৃতীয় লাইনের কাজ চলছে। সে জন্য ট্রেন দেরিতে চলছিল। দুপুরের পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।”
বীরভূমের আলামুদ্দিন শেখ, গুসকরার বাবলু রায়দের বিশ্বভারতী প্যাসেঞ্জারে বর্ধমান এসে পূর্বা এক্সপ্রেসে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। তাঁদের ক্ষোভ, “চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলাম। পূর্বা ধরতে পারলাম না। অবরোধে যে এ ভাবেই সমস্যা বাড়ে, অবরোধকারীরা তা কবে বুঝবে!”