রাতারাতি রাস্তা থেকে বহু গাছ সরাল চোরেরা

ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে শহর যখন বিপর্যস্ত, সেই সুযোগে ভেঙে পড়া বহু গাছ ও গাছের ডাল রাতের অন্ধকারে সাফ হয়ে গেল দুর্গাপুরের রাস্তা থেকে। টানা কয়েক দিন দাবদাহে হাঁসফাঁস করার পরে শহরবাসীকে স্বস্তি দিয়ে সোমবার বিকেলে বৃষ্টি নামে। তবে তার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড়। বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গাছ ভেঙে পড়তে থাকে। বৃষ্টি থামার পরে দেখা যায় গাছ পড়ে শহরের প্রায় সব রাস্তাই অবরুদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০০:৫১
Share:

ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে শহর যখন বিপর্যস্ত, সেই সুযোগে ভেঙে পড়া বহু গাছ ও গাছের ডাল রাতের অন্ধকারে সাফ হয়ে গেল দুর্গাপুরের রাস্তা থেকে।

Advertisement

টানা কয়েক দিন দাবদাহে হাঁসফাঁস করার পরে শহরবাসীকে স্বস্তি দিয়ে সোমবার বিকেলে বৃষ্টি নামে। তবে তার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড়। বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গাছ ভেঙে পড়তে থাকে। বৃষ্টি থামার পরে দেখা যায় গাছ পড়ে শহরের প্রায় সব রাস্তাই অবরুদ্ধ। পথচারী বা গাড়ির আরোহীরা কিছু গাছ রাস্তার পাশে সরিয়ে রেখে চলাচলের জায়গা করে নেন। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রশাসনের তরফে রাস্তা সাফ করার কাজে দেরি হয়। সেই সুযোগে উপড়ে পড়া বহু গাছ কারা সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, অনেক রাস্তাঘাটেই আর গাছ নেই।

দূষণ রোধে পুরসভার তরফে নানা সময়ে বৃক্ষরোপণ করা হয়। গাছ লাগানো হয় রাস্তার পাশে। সোমবারের ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছ তো বটেই, সামান্য হেলে যাওয়া গাছও চোরেরা কেটে নিয়ে পালিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ঝড়ে গাছ পড়বে জেনে আগে থেকেই তক্কে-তক্কে ছিল অনেকে। ঝড় থামতেই তারা রাতের অন্ধকারে গাছপালা সরিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘‘গাছের যে অংশ ভেঙে রাস্তার উপরে বা বিদ্যুতের তারে পড়েছে, তা কাটতেই হবে। কিন্তু বহু জায়গায় অকারণে গাছের অন্য অংশ বা পুরো গাছটাই কেটে নিয়ে গিয়েছে কেউ।’’

Advertisement

বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে কাটা গাছপালার বড় অংশই যায় বেআইনি করাতকলে। এই ধরনের করাতকল বন্ধে অভিযান চালানো হয় মাঝে-মধ্যে।’’ বন দফতরের দাবি, শহর জুড়ে নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো তাদের নেই। দফতরের আগাম অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা বেআইনি। ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। সেই সুযোগটাই তৎপরতার সঙ্গে কাজে লাগিয়েছে চোরেরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন