শিক্ষাকেন্দ্রে উড়ল চাল।—নিজস্ব চিত্র
ঘণ্টাখানেকের তুমুল ঝড়ে বিপর্যস্ত হল দুর্গাপুর ও লাগোয়া বেশ কিছু এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গাছ উপড়ে, পাঁচিল ভেঙে বিপত্তি হয়। ঝড়ের পাশাপাশি খানিক বৃষ্টি ও কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টিও হয়। ঝড়-বৃষ্টির পরে কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। রাস্তায় গাছ পড়ে থাকায় যাতায়াতেও সমস্যা হয়।
এ দিন বিকেলে প্রবল ঝড় শুরু হয়, সঙ্গে বৃষ্টি। ইস্পাতনগরীর ভগৎ সিংহ মোড় এলাকা, জয়দেব রোডে গাছ পড়ে যায়। সিটি সেন্টারেও বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে। একটি পার্কের পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে। রাস্তা আটকে যাওয়ায় ঘুরপথে যেতে হয় গাড়িগুলিকে। বরফকল এলাকায় একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের টিনের চাল উড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তখন কোনও পড়ুয়া না থাকায় বড় বিপদ কিছু ঘটেনি। শিক্ষাকেন্দ্রটির উপর দিয়ে উচ্চ পরিবাহী বিদ্যুতের তার গিয়েছে। ঝড়ে সেই তার ছিঁড়ে পড়লেও বিপদ হতে পারত, দাবি বাসিন্দাদের। দুর্গাপুর উইমেন্স কলেজে পাঁচিলের একাংশ ভেঙে পড়ে।
স্টিল টাউনশিপের বিদ্যাসাগর অ্যাভিনিউয়ে প্রচুর গাছের ডালপালা পড়ে এক দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কণিষ্ক রোড এলাকায় বাজ পড়ে একটি গাছ পুড়ে যায়। আমরাইয়ের মিলডাঙা বস্তি এলাকার কয়েকটি বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। ঝড়ের দাপটে শহরে বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায়। তার জেরে সিটি সেন্টার, বেনাচিতি-সহ বিভিন্ন এলাকা বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকে। ডিএসপি টাউনশিপ রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন থাকে। দুর্গাপুরের ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাচ্ছি। পুরসভার তরফে কাউন্সিলররা এলাকায় খোঁজখবর নিচ্ছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’