‘ওর শ্বাস পড়ছিল না’

অলঙ্কারের ‘রুমমেট’ মনোজকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে সেখানে পৌঁছই। গিয়ে দেখি, প্রায় অন্ধকার এলাকা। মোটরবাইক পৌঁছতেই অলঙ্কার হাত নেড়ে ডাকতে শুরু করে। গিয়ে দেখি, দু’পাশে রাস্তা। দেখি, অলঙ্কারের হাত, মুখ, চোখ, পায়ে আঘাতের চিহ্ন। অদূরেই পড়ে রয়েছে তুহিন।

Advertisement

চিরঞ্জিত সেন

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০১:৫৮
Share:

রায়পুরে চাকরি সূত্রে দু’বছর রয়েছি। বর্তমানে ভাদুড়িপাড়ার তুহিন মল্লিকের সঙ্গেই একই কোম্পানিতে কাজ করি। থাকতামও এক জায়গায়। অলঙ্কার পাল থাকত কিছুটা দূরে। শনিবার রাতে আমাদের ঘরে আসে অলঙ্কার। আর অলঙ্কারের বাড়িতে যাই আমি। রাত পৌনে ১টা তুহিনের মোবাইল থেকে ফোন করে অলঙ্কার। ‘একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে’, এইটুকু জানিয়ে ‘সিবিডি বিল্ডিং’-এর কাছে আসতে বলে। অলঙ্কারের ‘রুমমেট’ মনোজকে নিয়ে মোটরবাইকে চড়ে সেখানে পৌঁছই। গিয়ে দেখি, প্রায় অন্ধকার এলাকা। মোটরবাইক পৌঁছতেই অলঙ্কার হাত নেড়ে ডাকতে শুরু করে। গিয়ে দেখি, দু’পাশে রাস্তা। দেখি, অলঙ্কারের হাত, মুখ, চোখ, পায়ে আঘাতের চিহ্ন। অদূরেই পড়ে রয়েছে তুহিন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা। ওই অবস্থাতেই তুহিনকে নিয়ে আমি ও মনোজ বিআর অম্বেডকর হাসপাতালে পৌঁছয়। বাইক চালানোর ফাঁকে বুঝতে পারছিলাম তুহিনের শ্বাস পড়ছে না। হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে জানান। এ ভাবে তুহিন চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না।

Advertisement

(নিহত তুহিন মল্লিকের সহকর্মী)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন