আবার বাইক দুর্ঘটনা, মৃত দুই

রবিবার রাত একটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার কাঁকোড়সোল ও সাতাশার মাঝখানে জিটি রোডে। আসানসোলগামী একটি ছোট চার চাকার গাড়ির সঙ্গে কুলটিগামী একটি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share:

ফের রাতের শহরে মোটরবাইক দুর্ঘটনা ঘটল। মৃত্যু হল দু’জনের। রবিবার রাত একটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার কাঁকোড়সোল ও সাতাশার মাঝখানে জিটি রোডে। আসানসোলগামী একটি ছোট চার চাকার গাড়ির সঙ্গে কুলটিগামী একটি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম দুই বাইকআরোহীকে পুলিশ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম আফতাব আনসারি (২৮) ও মহম্মদ সাদ্দাম (৩০)। তাঁদের বাড়ি কুলটির নিয়ামতপুরের সওদাগর মহল্লায়। বাইক আরোহীদের মাথায় হেলমেট ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এ নিয়ে গত এক মাসে রাতের শহরে বাইক দুর্ঘটনায় প্রায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। এমনকী ময়না-তদন্তের সময়ে কয়েক জনের পাকস্থলীতে অ্যালকোহল মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। রাতের শহরে জিটি রোডে দ্রুত গতির বাইক নিয়ে এমনিতেই চিন্তিত পুলিশ। তার উপরে মত্ত অবস্থায় বাইক চালানোয় দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বাড়ছে বলে মত পুলিশের। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গোপালপুর এলাকায় জিটি রোড লাগোয়া একাধিক পানশালা রয়েছে। রাত বারোটার পরে পানাশালা থেকে মদ বিক্রির অনুমতি না থাকলেও কয়েকটি পানশালা ঘুরপথে বারোটার পরেও মদ বিক্রি করছে। ফলে রাতের জিটি রোডে মত্ত অবস্থায় বাইক চালকদের দাপাদাপি রুখতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, মাস ছয়েক আগে থেকেই রাতের শহরে দ্রুতগতির বাইক ধরতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। এমনকী মত্ত অবস্থায় বাইকচালক ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে এসিপি (ট্র্যাফিক) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাতের শহরে মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোয় গত কয়েক মাসে আমরা কয়েকশো চালকের লাইসেন্স তিন থেকে ছয় মাসের জন্য বাতিল করেছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, ট্র্যাফিক বিভাগ আরও কড়া হাতে এ সব দমন করবে।

Advertisement

এ দিকে গোপালপুর এলাকায় জিটি রোড লাগোয়া পানশালাগুলিতে নিয়ম ভেঙে অধিক রাতে মদ বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা আসানসোল পুরসভার সংখ্যালঘু দফতরের মেয়র পারিষদ মির হাসিম বলেন, আমিও প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাব যেন কোনও ভাবে নিয়ম ভেঙে অধিক রাতে পানাশালা থেকে মদ বিক্রি না হয়।’’ বাসিন্দাদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে আবগারি দফতরের কাছে কোনও খবর আছে কি না তা জানতে চাওয়া হলে আবগারি দফতরের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সুপারিন্টেন্ডন্ট তুহিন নাগ বলেন, ‘‘আমার জানা নেই। জানার চেষ্টা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন