জামালপুরের এই এলাকাতেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। নিজস্ব চিত্র।
ফের দামোদরে তলিয়ে গেল দুই স্কুল পড়ুয়া। শনিবার জামালপুরের দামোদর লাগোয়া কারালাঘাটের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর দুয়েক ধরে জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও প্রশাসনের হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ। দেখা যায়নি তেমন নজরদারিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারালাঘাটে একটি বারোয়ারি কালী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই এলাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন জড়ো হন। সঙ্গে চলে দামোদরে স্নান করাও। এ দিন চার জন স্কুল পড়ুয়া এলাকায় গিয়ে স্নান করতে নেমে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মানস মাঝি (১২) নামে এক পড়ুয়া স্নান করতে নামে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে তলিয়ে যেতে দেখে স্নেহা হাজরা (১৩) ও আরও দু’জনও ঝাঁপ দেয় জলে। কিন্তু খানিক বাদে তলিয়ে যায় স্নেহাও। রিয়া মালিক ও ইমা আদক নামে অন্য দুই পড়ুয়াকে ঘাটে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন। পরে তাদের জামালপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। মানস ও স্নেহার দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসের বাড়ি কারালাঘাট এলাকাতেই। স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া সে। স্নেহা মেমারি শহরের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ার বাসিন্দা। সে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামালপুরে নদীতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা এর আগেও বেশ কয়েকবার ঘটেছে। গত বছর দুর্গাপুজোর সময় তলিয়ে যান দু’জন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার এমন দুর্ঘটনা ঘটার পরেও এলাকায় নজরদারির ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন। সঞ্জয় মাঝি নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘কারালাঘাট সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক বালি চুরি হয়। এর জেরে যেখানে সেখানে জল জমে গর্ত তৈরি হয়ে যাচ্ছে। মাঝেসাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা।’’ সেচ দফতরের তরফে অবশ্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ঘাটের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও তদারকির জন্য শীঘ্রই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’