ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ায় আগ্রহ হারাচ্ছেন পড়ুয়াদের অনেকে। এই মন্দা চলছে বিশ্ব জুড়েই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রম বাঁচাতে সব কলেজকে একজোট হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন রাজ্য কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘নানা ভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। সে জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’’ এ দিন ফুলঝোড়ের ওই কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি লিঁয়াজো সেন্টার ও প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া জেলায় প্রায় ৪০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। নানা প্রয়োজনে পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তবে এখন থেকে আর সে জন্য কলকাতায় যেতে হবে না। মঙ্গলবার চার জেলার নানা কলেজ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ফুলঝোড়ের ওই কলেজে একটি যোগাযোগ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে মোট পাঁচটি এমন নোডাল সেন্টার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমটি খোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে। দুর্গাপুরের কেন্দ্রটি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য কাজ করবে।’’ উপস্থিত কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিকে এই কেন্দ্রটি ব্যবহার ও এর উন্নয়নের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার আবেদন জানান উপাচার্য।
ফিনান্স আধিকারিক অত্রি ভৌমিক জানান, এখানে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্য অনগ্রসর শ্রেণির আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন সংস্থা কলেজের প্রথম সারির কয়েক জনকে নিয়োগ করেন। বাকিরা পিছিয়ে পড়েন। নতুন কেন্দ্রে সেই পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উপাচার্য বলেন, ‘‘পেশার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার কী খামতি আছে তা চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে চাকরি পেতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়।’’ ফুলঝোড়ের কলেজটির পরিচালন সংস্থার সভাপতি দুলাল মিত্র বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ সফল করতে সব রকম পদক্ষেপ করব।’’