কেন্দায় নালিশ জেলাশাসককে

জমির দামের পুনর্মূল্যায়ণ, পুনর্বাসন, বর্গাদার-খেতমজুরদের পাওনা মেটানোর দাবিতে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এই সব দাবির পাশাপাশি খনিতে বিস্ফোরণের জেরে জনপদে ক্ষতির অভিযোগে নিউকেন্দা খোলামুখ খনিতে টানা আন্দোলন করেছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩২
Share:

পরিদর্শনে কর্তা। নিজস্ব চিত্র

জমির দামের পুনর্মূল্যায়ণ, পুনর্বাসন, বর্গাদার-খেতমজুরদের পাওনা মেটানোর দাবিতে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এই সব দাবির পাশাপাশি খনিতে বিস্ফোরণের জেরে জনপদে ক্ষতির অভিযোগে নিউকেন্দা খোলামুখ খনিতে টানা আন্দোলন করেছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার এলাকা ঘুরে দেখলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। তিনি জানান, গ্রামবাসীদের কথা শুনেছেন। ইসিএলের কাছে কিছু নথিপত্র চেয়েছেন। সব দেখার পরে আদালতের নির্দেশ মতো রিপোর্ট পাঠাবেন তিনি।

Advertisement

২০১৬-র ২৪ ফেব্রুয়ারি তিরাট গ্রামের বাসিন্দা অনল মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে ওই জনস্বার্থে মামলা করেন। আদালত গত ৭ এপ্রিল জেলাশাসককে খনি এলাকা নিরীক্ষণ করে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন। এ দিন দুপুরে জেলাশাসক প্রথমে কেন্দা পঞ্চায়েতে যান। সেখান মহকুমাশাসক (আসানসোল) প্রলয় রায়চৌধুরী, জামুড়িয়ার বিডিও অনুপম চক্রবর্তী, বিএলএলআরও সোমনাথ মাইতির সঙ্গে আলোচনার পরে খোলামুখ খনিতে যান।

কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার নারায়ণ দাসের কাছে খনির নকশা দেখতে চান জেলাশাসক। গ্রামবাসীদের জল সরবরাহের জন্য কী ব্যবস্থা করেছে সংস্থা, তা জানতে চান। নারায়ণবাবু জানান, তাঁরা ধোলবাঁধ পরিত্যক্ত খনির জল গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা এর প্রতিবাদ করেন। তাঁরা দাবি করেন, ওই পরিত্যক্ত খনির বেশিরভাগই মাটি ভরাট করে দিয়েছে ইসিএল। সেখান থেকে জল সরবরাহ সম্ভব নয়। তখন নারায়ণবাবু জানান, এক কিলোমিটার সাতশো মিটার দূরে ‘বোর হোল’ খনন করা হয়েছে। একটি জলপ্রকল্পের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। চার মাসের মধ্যে পাইপলাইন পেতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। জেলাশাসক প্রশ্ন করেন, এত কম দূরত্বে পাইপ পাততে এত সময় লাগবে কেন? নারায়ণবাবু জানান, কাজের টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।

Advertisement

মামলাকারী অনলবাবু, গ্রামবাসী অশোক চট্টোপাধ্যায়েরা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন, জনবসতি থেকে তিনশো মিটারের মধ্যে বিস্ফোরণ না ঘটানোর নিয়ম মানছেন না খনি কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েক জনের জমিতে অনুমতি ছাড়া মাটি কাটা হয়েছে। জমিদাতাদের এখনও চাকরি দেওয়া হয়নি। শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা কেটে দেওয়ার পরে ফের তৈরি করে দিলেও এখন তা চলার অযোগ্য। ‘কেন্দা গ্রামরক্ষা কমিটি’র সভাপতি বিজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “জমির যা দাম দেওয়া হচ্ছে তাতে গ্রামবাসীরা অসন্তুষ্ট।’’

বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার পরে জেলাশাসক আবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বৈঠক করেন। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় সব নথি দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন