ভোটের টুকটাকি

বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী। ছিলেন এডিসিপি (সেন্ট্রাল) রাকেশ সিংহ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা আসানসোল উত্তর থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৬ ০২:০০
Share:

কেন্দ্রে ঘুরে সমস্যার খোঁজ

Advertisement

আসানসোল: বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী। ছিলেন এডিসিপি (সেন্ট্রাল) রাকেশ সিংহ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা আসানসোল উত্তর থানা এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। মহকুমাশাসক জানান, ভোটের দিন কেউ বাধা দেন কি না, তা তাঁরা এলাকার মানুষের কাছে জানতে চেয়েছেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় কি না, সে বিষয়েও খোঁজ নেন তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের নির্ভয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রলয়বাবু। তিনি জানান, এলাকাটি খুবই ঘিঞ্জি। বড় গাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তবে মোটরবাইকে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এলাকায় টহলের ব্যবস্থা করা হবে আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

নাম ঘোষণার আগেই প্রচারে

কালনা: দলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা হয়নি এখনও তার মধ্যেই দেওয়ালে নাম লেখা হয়ে গেল সিপিএম প্রার্থীর। মঙ্গলবার হাটকালনা-সহ বেশ কিছু এলাকায় দেখা যায়, কালনা বিধানসভার বাম প্রার্থী হিসেবে দলের জোনাল কমিটির সম্পাদক সুকুল শিকদারের নামে দেওয়াল লেখা হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজে কিছু বলতে না চাইলেও কালনা জোনাল কমিটির সদস্য স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, নাম ঘোষণা হয়নি ঠিকই, কিন্তু জেলা কমিটির তরফে নিশ্চিত বার্তা পেয়েই প্রচারে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। এ দিন পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রেও দেখা যায় গত বারের প্রার্থী প্রদীপ সাহাকে নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার তাঁকে নিয়ে একটি মিছিলও করা হয়। পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির সম্পাদক সুব্রত ভাওয়াল বলেন, ‘‘প্রদীপবাবুই আমাদের প্রার্থী। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও দল ইতিমধ্যেই আমাদের তিনি প্রার্থী বলে জানিয়ে দিয়েছে।’’

ধর্নায় সিপিএম

দুর্গাপুর: ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাযথ ব্যবহার করা, বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ রাজ্য পুলিশের হাতে না রাখার দাবিতে মঙ্গলবার ধর্না কর্মসূচি করল সিপিএম। এ দিন মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ভবনের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা ধর্না চলে। ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়-সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। প্রায় দু’হাজার সমর্থক এ দিনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক ভাবে ব্যবহার করা হলে সাধারণ মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। পরে তাঁরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন। মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ময়দান ফাঁকাই

আসানসোল: শিল্পাঞ্চলে এখনও তেমন ভাবে ভোটের প্রচার শুরু করেনি কোনও রাজনৈতিক দল। তবে কয়েকটি কর্মিসভা করেছে তৃণমূল। আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, ১৩ তারিখের মধ্যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ স্লিপ বিতরণ শেষ করেই জোরকদমে প্রচার শুরু হবে। তবে বারাবনি কেন্দ্রে সিপিএম ও তৃণমূল ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

শুধু দেওয়ালে

বুদবুদ: এখনও এলাকায় সে ভাবে প্রচারে নামেননি গলসির তৃণমূল প্রার্থী। তা নিয়ে কিছুটা সমস্যায় ওই বিধানসভা এলাকার বুদবুদের তৃণমূল কর্মীরা। দেওয়াল লিখনের কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখলেও প্রার্থীকে ছাড়া প্রচার চালানো বেশ সমস্যার বলে জানান তাঁরা। তবে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অলোককুমার মাঝি জানান, পুরোদমে প্রচার দ্রুত শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন