জল ভরতে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
বেসরকারি টেলি যোগাযোগ সংস্থার কেবল লাইন পাতার গর্ত করতে গিয়ে বুধবার রাতে দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরে পুরসভার পানীয় জল সরবারহকারী পাইপ ফেটে গেল।ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল সরবরাহ ব্যহত হয়। শুধু তাই নয়, সংস্থাটি একাধিক জায়গায় লাইন পাতার পর ঠিক ভাবে গর্ত ভরাট করছে না বলেও বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় ৪জি পরিষেবার জন্য কেবল পাতার কাজ চলছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর যন্ত্রের সাহায্যে মাটিতে গর্ত করে কেবল পাতছে তারা। বুধবার রাতেও ওই কাজ করার সময়েই পুরসভার অঙ্গদপুর জলশোধনাগার ও ওভারহেড ট্যাঙ্কের সঙ্গে সংযোগকারী জলের পাইপের একাংশ ফেটে যায়। অঙ্গদপুর গ্রামে ঢোকার মুখে ঘটনাটি ঘটে। এর জেরে পাইপ থেকে জল বেরিয়ে আসতে শুরু করে। পাশাপাশি ট্যাঙ্কে জল ওঠাও বন্ধ হয়ে যায়। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাতুরিয়া গ্রাম, তেঁতুলতলা কলোনি, পলাশতলা, অঙ্গদপুর, অর্জুনপুর, পুরষা-সহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা এবং রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্প তালুকে জল সরবরাহও বন্ধ হয়ে যায়।সকালে জল না আসায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ভেবেছিলেন পাইপলাইনে কোনও মেরামতির কাজ হচ্ছে। পরে খবর শুনে ভিড় জমান তাঁরা। ফাটা পাইপটি মেরামত করার জন্য ওই সংস্থার কর্মীদের কাছে অনুরোধও করতে থাকেন। খবর যায় পুরসভাতেও। শেষ পর্যন্ত পাইপলাইন ঠিক করা গেলেও দুপুরের আগে মেরামতের কাজ শুরু করা যায়নি বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ওই সংস্থার দুর্গাপুর শাখার আধিকারিক মলয় কুণ্ডু জানান, পুরসভার কারিগরি সহায়তা নিয়ে পাইপ লাইন মেরামতির কাজ তাঁরা করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুরসভা। তবে দিনভর জল না মেলায় ট্যাঙ্কার আসতেই বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। অঙ্গদপুরের বধূ গীতা ঘোষ, বাসিন্দা রবি দত্তদের ক্ষোভ, ‘‘পর্যাপ্ত জল পাইনি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর খাবার জলটুকু মিলেছে।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, লাইন পাতার পর ওই সংস্থাটি ঠিক ভাবে গর্ত ভরাট করছে না। রাস্তার উপরেই জড়ো করা থাকছে মাটি। সমস্যায় পড়ছেন মোটরবাইক আরোহীরা। মলয়বাবু যদিও আশ্বাস, ‘‘ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।’’ ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের কাছে সমস্যার কথা শুনেছি। প্রয়োজনে ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে।’’