ভিভিপ্যাট কী, জনসাধারণকে চেনাতে প্রচার জেলা প্রশাসনের

সেগুলি পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটাতে প্রচারের উপরেও জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৪
Share:

চলছে প্রদর্শন। বৃহস্পতিবার আসানসোলে। —নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০১৯-র লোকসভা ভোটে গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব ভোটকেন্দ্রেই ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট (‌ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেইল) থাকবে। সে বিষয়ে প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ভিভিপ্যাট, ইভিএম এবং কন্ট্রোলার মেশিন চলে এসেছে। সেগুলি পরীক্ষানিরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে। এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটাতে প্রচারের উপরেও জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

জেলায় এই পদ্ধতিটি জনসাধারণকে বোঝাতে সক্রিয় হয়েছে জেলা প্রশাসনও। বৃহস্পতিবার জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠি এই প্রচার অভিযানের সূচনা করেছেন। তা উপলক্ষে এ দিন জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাধারণ শহরবাসীও যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই প্রশাসনের আধিকারিকেরা বিষয়টি হাতেকলমে বুঝিয়ে দেন।

নতুন পদ্ধতিটি কী? কমিশন সূত্রে খবর, ইভিএম যন্ত্রের পাশেই থাকবে ভিভিপ্যাট। ব্যালট ইউনিটে নির্দিষ্ট জায়গায় বোতামে চাপ দেওয়ার পরে লাল আলো জ্বলে উঠবে। একটি ‘বিপ’ শব্দও হবে। এর পরেই সংশ্লিষ্ট ভোটদাতা যাঁকে ভোট দিয়েছেন, সেই প্রার্থীর নাম, ক্রমিক সংখ্যা ও প্রতীক ভিভিপ্যাটের ব্যালট স্লিপে ছাপানো অক্ষরে দেখা যাবে। সর্বাধিক তা সাত সেকেন্ড দেখা যাবে। তার পরে সেই তথ্য-সম্বলিত ‘স্লিপ’ মুদ্রণ-যন্ত্রের ‘ড্রপবক্সে’ পড়ে যাবে। যদি ভিভিপ্যাট ঠিক ভাবে কাজ না করে অথবা ইভিএম-এর লাল আলো না জ্বলে, কিংবা আওয়াজ না হয়, তা হলে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে।

Advertisement

অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘ভোটদাতাদের সংশয় কাটাতে জেলার প্রতিটি ভোটগ্রহণকেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে ভিভিপ্যাট প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, আগামী ২৫ জানুয়ারি ‘জাতীয় ভোটার দিবস’-এ জেলায় একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে ভোটদানে উৎসাহ দিতে নতুন ভোটারদের নিয়ে একাধিক প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। অরিন্দমবাবু আরও জানান, এ বারের ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের উদ্দ্যেশ্যে উৎসর্গ করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, তার জন্য অন্য বারের তুলনায় এ বার আরও কিছু পদক্ষেপ করা হবে। জেলা প্রশাসন জানায়, আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিভিন্ন এলাকায় নতুন ভোটারদের হাতে এপিক কার্ড তুলে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ব্যাজ পরানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন