West Bengal Lockdown

রেস্তরাঁ কর্মীরা কাজ হারানোর আশঙ্কায়

কর্মীরা জানান, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে কিছু ছাড়ের আশায় ছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২০ ০০:২০
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে প্রায় দু’মাস আগে। তখন থেকে বন্ধ রেস্তরাঁগুলি। কাজ হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন কর্মীরা। ‘হোম ডেলিভারি’র জন্য রেস্তরাঁর রান্নাঘর চালু করার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলাবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Advertisement

কর্মীরা জানান, লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ে কিছু ছাড়ের আশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু রেস্তরাঁ খোলার অনুমতি মেলেনি। মিলেছে শুধু ‘হোম ডেলিভারি’র জন্য রেস্তরাঁর রান্নাঘর খুলে রাখার অনুমতি। কিন্তু তাতে অনিশ্চয়তা কমবে না বলে মনে করছেন রেস্তরাঁর কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনার আতঙ্কে বাইরের খাবার খেতে অনীহা দেখাচ্ছেন মানুষজন। ফলে, পরিস্থিতি বদলাচ্ছে না।

সিটি সেন্টারের একটি রেস্তরাঁর কর্মীরা জানালেন, ‘হোম ডেলিভারি’র জন্য রান্নাঘর চালু রাখার অনুমতি মেলার পরে এখনও পর্যন্ত এক জনও খাবারের অর্ডার দেননি। এখনও বেতন মিলছে। তবে কত দিন মিলবে তা নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ বলতে পারেননি বলে দাবি তাঁদের। ইতিমধ্যে বিকল্প কাজের খোঁজ শুরু করেছেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ। কিন্তু ‘লকডাউন’-এর জেরে তা-ও মিলছে না বলে জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘একমাত্র আনাজ বিক্রি করা ছাড়া, আর কোনও উপায় দেখছি না হাতের কাছে।’’

Advertisement

ফরিদপুরের উল্টোদিকে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হোটেল ও রেস্তরাঁ রয়েছে আনন্দময় ঘোষের। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ২৫ জন কর্মী রয়েছেন। লকডাউনে কয়েকজন বাড়ি যেতে পারেননি। তাঁরা এখানেই আছেন। এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে জানি না। হয়তো বেতন কমাতে হবে কর্মীদের। তবে ওঁদের কাজ যাতে না যায়, সে চেষ্টা করে যাব শেষ পর্যন্ত।’’ দীর্ঘদিন ধরে সিটি সেন্টারে দুর্গাপুর পুরসভার অনুষ্ঠানবাড়ি লিজ নিয়ে ব্যবসা করছেন সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, দুর্গাপুর ছাড়াও, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ও পুরুলিয়ার গড়পঞ্চকোটে তাঁর রিসর্ট রয়েছে। তিন জায়গা মিলিয়ে তাঁর প্রায় ৮০ জন কর্মী আছেন। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীদের সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। লকডাউনের জেরে ব্যবসা বন্ধ। তবে কর্মীদের যাতে কাজ না যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন