কুলটির জনসভায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। নিজস্ব চিত্র।
জোটের প্রচারের ছবি এর আগেই দেখা গিয়েছিল। এ বার বাম-কংগ্রেস জোটের জনসভাও দেখল আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল।
শনিবার কুলটি ও দুর্গাপুরে প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই দলকেই আক্রমণ করলেন। অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে কুলটিতে বেশ কিছুটা সময় বক্তব্য রাখলেন হিন্দিতে। আবার, দুর্গাপুরে তুললেন একের পর এক বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার প্রসঙ্গ। আর সভার ভিড়ে কংগ্রেস ও বামেদের পতাকা এক সঙ্গে দেখে বললেন, ‘‘মানুষ যে এত সহজে রাজনৈতিক সমঝোতাকে আপন করে নিয়েছেন, এটা খুব ভাল দিক।’’
এ দিন বিকেলে কুলটিতে দলের প্রার্থী অভিজিৎ আচার্যের সমর্থনে আয়োজিত সভায় অধীর বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত করছে। মমতা কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলছেন না।’’ দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকার ক্ষুদিরাম মাঠের সভাতেও একই ভাবে বিঁধলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে। নারদ-কাণ্ড থেকে টেট কেলেঙ্কারি, সরব হলেন নানা বিষয় নিয়েও। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে দুর্গাপুরের ১৮টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শিল্প ছাড়া রাজ্য বাঁচে না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এ সব বোঝেন না।’’
ক্ষুদিরাম মাঠে অধীরের সভামঞ্চে দুর্গাপুর পশ্চিমের কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ছাড়াও ছিলেন দুর্গাপুর পূর্ব ও পাণ্ডবেশ্বরের দুই সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও সন্তোষ দেবরায়। এ ছাড়াও ছিলেন সিপিএমের বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী, পঙ্কজ রায় সরকার থেকে কংগ্রেস নেতা উমাপদ দাস, বিকাশ ঘটক, বংশীবাদন কর্মকারেরা। অধীর বলেন, ‘‘আমাদের মঞ্চে বাম-ডান একাকার হয়ে গিয়েছে। মানুষের দাবি, সব জায়গায় তৃণমূল তাড়াও আন্দোলন করতে হবে।’’
তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা শিল্পাঞ্চল সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোটের সময়ে পরিযায়ী পাখির মতো কে এসে কী বলে গেল, আমরা সে সব নিয়ে ভাবছি না। দুর্গাপুরের কী উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ জানেন।’’