Murder

Murder: পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন? মঙ্গলকোটে পলাতক অভিযুক্ত

বিজলির শ্বশুরবাড়ির দাবি, বছর তিনেক ধরে মানসিক রোগের শিকার তাপস। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। স্ত্রীকে প্রায়শই মারধর করতেন বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মঙ্গলকোট শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২২ ২১:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত সন্দেহে স্ত্রীকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে ওই তরুণীর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীর স্বামীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সাগিরা গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মঙ্গলকোট থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। ওই গ্রামের তপন দাসের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী বিজলি দাস (২৮)-র রক্তাক্ত দেহ মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নিহত বধূর গলা ও ঘাড়ের কাছে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শনিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত তাপস পলাতক।

স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, সাগিরা গ্রামেই বাপেরবাড়ি বিজলির। প্রায় ন’বছর আগে এই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা লেদ কারখানার কর্মী তাপসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিজলির। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে।

Advertisement

বিজলির শ্বশুরবাড়ির দাবি, বছর তিনেক ধরে মানসিক রোগের শিকার হন তাপস। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। স্ত্রীকে প্রায়শই মারধর করতেন বলে তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বিজলির মা পুতুরানি দাসের দাবি, তাপসের মারধরের জেরে দিন কয়েক আগে বাপেরবাড়ি চলে আসেন তরুণী। তার পর থেকে সেখানেই ছিলেন। তবে শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রীকে দু’দিন আগে নিজের কাছে নিয়ে যান তাপস। পুতুরানির আরও দাবি, ‘‘বিজলির সঙ্গে কারও সম্পর্ক রয়েছে বলে আমার জামাই সন্দেহ করত। সন্দেহের বশে মেয়েকে মারধরও করত সে। কিন্তু এ ভাবে যে খুন করে দেবে, ভাবতেও পারিনি।’’ মেয়েকে খুনের অভিযোগে তাপসের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন পুতুরানি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন