খুনে ধৃত স্ত্রী ও শ্যালক

এক যুবককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী ও শ্যালক। শনিবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকার শ্রমিক নগর কলোনি লাগোয়া মহানন্দাপল্লির ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রমেশ বাউড়ি (৩২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০০:২৯
Share:

এক যুবককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তাঁর স্ত্রী ও শ্যালক। শনিবার গভীর রাতে দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকার শ্রমিক নগর কলোনি লাগোয়া মহানন্দাপল্লির ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রমেশ বাউড়ি (৩২)।

Advertisement

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রমেশবাবুর বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী মনিকা ও শ্যালক বাদল বালাকে বেরিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হয় পড়শিদের। পিছনের একটি বাড়িতে থাকেন রমেশবাবুর মা বীনাদেবী। বাদল দিদি-জামাইবাবুর সঙ্গেই থাকতেন। বীনাদেবীকে সঙ্গে নিয়ে পড়শিরা রমেশবাবুর বাড়িতে ঢোকেন। আটকে রাখা হয় মনিকা ও বাদলকেও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়িতে ঢুকে দেখা যায় মেঝেয় রমেশবাবুর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হলে দু’জনকেই থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বীনাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার সকালে তদন্তে আসে পুলিশ। এক তদন্তকারী জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বালিশ মিলেছে। ঘরে ধস্তাধস্তির চিহ্নও রয়েছে। ওই তদন্তকারীর দাবি, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, রমেশবাবুকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না এলে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও প্রাথমিক তদন্তে দু’টি বিষয় উঠে এসেছে। প্রথমত, ধৃতরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, পেশায় রাঁধুনি রমেশবাবু প্রায় দিনই বাড়ি ফিরে স্ত্রী’কে মারধর করতেন। তবে খুনের কারণ নিয়ে ভিন্ন একটি মতও উঠে এসেছে তদন্তে। মৃতের ভাই সুরেশবাবুর দাবি, ‘‘বৌদির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। দাদা তার প্রতিবাদ করাতেই এই পরিণতি।’’ দু’টি বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারীরা জানান।

দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরেই কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে বলে তদন্তকারীরা জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন