Earning

সংসার টানতে ঠোঙা তৈরি করছেন মহিলারা

এই কাজে যুক্ত মহিলারা জানান, নিজেরা কাগজ কিনে ঠোঙা বানালে দিনে রোজগার হতে পারে প্রায় ৩০০ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ০০:২০
Share:

ঠোঙা তৈরিতে ব্যস্ত মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

লক্ষ্য, সংসারের জন্য বাড়তি রোজগার করা। কিন্তু চাষাবাদ ছাড়া, দুর্গাপুর শহর লাগোয়া গ্রাম রঘুনাথপুরের অধিকাংশ মানুষের রোজগারের বিকল্প পথ নেই। সংসারের আর্থিক অনটন কাটিয়ে তুলতে অনেক মহিলাই এখন ঠোঙা তৈরির কাজে নেমেছেন।

Advertisement

এই কাজে যুক্ত মহিলারা জানান, নিজেরা কাগজ কিনে ঠোঙা বানালে দিনে রোজগার হতে পারে প্রায় ৩০০ টাকা। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় দালালদের কাছ থেকে ঋণে কাগজ কিনে ঠোঙা বানিয়ে তাঁদের কাছেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ভাবে দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ ঠোঙা বানিয়ে দেওয়ার পরেও এই সমস্ত মহিলাদের রোজগার দাঁড়াচ্ছে মাত্র ১০০ টাকা। যেখানে সামান্য পুঁজি লাগালে দৈনিক তিন গুণ বেশি রোজগারের সম্ভাবনা ছিল। তাঁদের দাবি, দালালেরা বাজার থেকে মাত্র ১০ টাকা দরে কাগজ কিনে ঠোঙা তৈরিতে উদ্যোগী মহিলাদের কাছে ২৮ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছেন। তার পরে সেই ঠোঙা দালালরা ৩৫ টাকা কিলো দরে কিনছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রঘুনাথপুর গ্রামের আমবাগান এলাকার রিনা বাগদি, পিয়ালী অধিকারী, কৃষ্ণা অধিকারী, পুষ্প ভদ্র, সুলতা ঘোষের মতো বহু মহিলা এ ভাবে ঠোঙা তৈরি করে মাসে প্রায় চার হাজার টাকা আয় করছেন। লক্ষ্মী অধিকারী নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘এই অবস্থায় সরকারি ঋণের সুযোগ পাওয়া গেলে আমাদের মতো মেয়েদের রোজগার বাড়বে।’’

Advertisement

এলাকাটি দুর্গাপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে। কাউন্সিলর শিপ্রা সরকার বলেন, ‘‘ওই সব মহিলারা আবেদন জানালেন সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করব।’’ জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজিও বলেন, “যথাযথ ভাবে সরকারের কাছে আবেদন করা হলে, নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন