ইদে ফিরছে ছেলে

এ দিন ভাল্যগ্রামে মসজিদ লাগোয়া বাড়িতে বসে বড় ছেলে আশরাফুলের কথাবলেন মা সামসুন্নেহার বেগম। তিনি জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল ছেলে। প্রযুক্তিবিদ্যায় আগ্রহ ছিল। ইনফর্মেশন টেকনোলজিতে স্নাতক হওয়ার পরে মুম্বইয়ে কাজ নেয় সে। তারপরেই পড়ে ওই ‘দালালে’র খপ্পরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ১২:৩০
Share:

স্বামীর অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র

প্রায় দেড় বছর আগে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরির খোঁজে সৌদি আরব পাড়ি দিয়েছিল ছেলে। কিন্তু চাকরি তো দূর, জোটে সাফাইকর্মীর কাজ, নির্যাতন। পালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের সাহায্য চান কেতুগ্রামের ভাল্যগ্রামের আশরাফুল হক। সোমবার সিআইডি-র সাহায্যে ঘরে ফিরলেন তিনি।

Advertisement

এ দিন ভাল্যগ্রামে মসজিদ লাগোয়া বাড়িতে বসে বড় ছেলে আশরাফুলের কথাবলেন মা সামসুন্নেহার বেগম। তিনি জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল ছেলে। প্রযুক্তিবিদ্যায় আগ্রহ ছিল। ইনফর্মেশন টেকনোলজিতে স্নাতক হওয়ার পরে মুম্বইয়ে কাজ নেয় সে। তারপরেই পড়ে ওই ‘দালালে’র খপ্পরে। চার লক্ষ টাকা খরচ করে সৌদি আরব যান তিনি। সেখানে চলে হেনস্থা, টাকা না দিয়ে মার। কোনও রকমে রিয়াধ থেকে পালিয়ে দম্মম শহরে পৌঁছন আসরাফুল। সেখানেই এক জনের সাহায্যে পুলিশ সুপারকে ই-মেল পাঠান। এই দেড় বছরে বহু ঘুরেছেন আশরাফুলের বাবা, কলকাতা হাইকোর্টের ল’ক্লার্ক ইমারুল হকও। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ইদের আগে এর থেকে ভাল কিছু হতে পারত না।’’

পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “মেলটি দেখার পরে আশরাফুলের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয়। আসরাফুল দেশে ফিরে আসায় আমাদেরও ভাল লাগছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন