হাজিরা কম থাকায় জরিমানা করেছে কলেজ। কিন্তু জরিমানার অঙ্ক অনেক বেশি, অভিযোগ এমন তুলে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, টাকা না দিলে আসন্ন জুনের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলেও ভয় দেখানো হচ্ছে।
সোমবার ভাতারের একটি বিএড কলেজের প্রায় একশো জন ছাত্রছাত্রী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতরের বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম সঞ্জিব কর, আয়েশা খাতুনদের অভিযোগ, নানা উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধ টাকা আদায় করছে ওই কলেজটি। ভর্তির প্রথমে কোনও রসিদ ছাড়া উন্নয়ন খাতে পাঁচ হাজার টাকা মাথাপিছু আদায় করেছে। এছাড়া শিক্ষামূলক ভ্রমণের নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে আরো ৩৬০০ টাকা আদায় করা হলেও রসিদ দেওয়া হয়নি। এখন ৭৫ ভাগের চেয়ে কম হাজিরা রয়েছে এমন ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
ঘটনার লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের জানান, অবৈধ টাকা আদায়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণিত হয় অভিযোগ সত্যি, তাহলে কলেজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দুই পদাধিকারী দীপক পাত্র ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হল কোনও বেসরকারি কলেজে শতকরা ৫০ থেকে ৭৫ ভাগ হাজিরা না থাকলে ছাত্রদের মাথাপিছু ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তাও সেই টাকা জমা নেয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ নয়।” তাঁদের দাবি, “কী করে এত বেশি টাকা চাওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে আমরা ওই কলেজে যাব।”
আগেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একাধিক বিএড কলেজে নানা অজুহাতে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজসমূহের পরিদর্শকের দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ছাত্রেরা অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু ছাত্রদের নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কলেজগুলি অভিযোগ করা থেকে বিরত করে রাখছে। এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে শীঘ্র একটি কমিটি তৈরি করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।