অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা কালনার স্কুলে

ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠালেই দায়িত্ব শেষ নয়। বরং মাঝেমধ্যে স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া, বন্ধুর মতো মিশে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করকে হবে অভিভাবকদের— সম্প্রতি কালনার এক স্কুলে ছেলেমেয়েদের যথাযথ ভাবে বড় করতে গেলে বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনায় উঠে এল এমনই কথাবার্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৫৩
Share:

ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠালেই দায়িত্ব শেষ নয়। বরং মাঝেমধ্যে স্কুলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া, বন্ধুর মতো মিশে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করকে হবে অভিভাবকদের— সম্প্রতি কালনার এক স্কুলে ছেলেমেয়েদের যথাযথ ভাবে বড় করতে গেলে বাবা-মায়ের ভূমিকা কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনায় উঠে এল এমনই কথাবার্তা।

Advertisement

অ্যাকমে অ্যাকাডেমি নামে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ অরুণাংশু মৈত্র জানান, ওই দিনের আলোচনায় মুখ্য বক্তা ছিলেন গুয়াহাটি ডন বসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া সায়ন্সের ডিন ডক্টর পুলু পুদুসসেরি। তিনি প্রায় শ’তিনেক অভিভাবককে ছেলেমেয়েদের সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ত থেকে সামলে রাখা, টিভি বা মোবাইলের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় না কাটিয়ে কীভাবে সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখা যায় তার পরামর্শ দেন। মূলত চারটি বিষয় উঠে আসে ওই আলোচনায়। যেমন, বাস্তবের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য ছোট থেকেই কীভাবে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানো যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করা যায় কীভাবে, স্কুলের নানা কাজ ছেলেমেয়েরা যাতে একাই করতে পারে এবং বাড়িতে সুন্দর পরিবেশ রাখার প্রয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বিশেষজ্ঞের মত, কমবয়েসি ছেলেমেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ায় তাদের জগতটাও সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ছে। কমছে বাস্তবের সঙ্গে যোগাযোগ। ফলে বাবা-মাকে সন্তানের সঙ্গে নানা বাস্তব সমস্যা, পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর পরামর্শ, রাতে খাবার টেবিলে একসঙ্গে খাওয়া, শোবার ঘরের বাইরে ল্যাপটপ, মোবাইল রেখে আসার মতো অভ্যেস করা গেলে অনেকটাই সহজ হবে জীবন।

যদিও অভিভাবকদের অনেকেই এ নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। তাঁদের আশঙ্কা, ছেলেমেয়েদের হাতে মোবাইল না দিলে বা কড়াকড়ি করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আলোচনায় উঠে আসে, মোবাইল দিলেও সচেতন থাকতে হবে। মোবাইল ব্যবহার প্রয়োজনের সীমা ছাড়িয়ে অভ্যেস না হয়ে যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আলোচনার পাশাপাশি বেশ কিছু সমীক্ষার তথ্যও প্রজোক্টরের সাহায্যে দেখান পুলু পুদুসসেরি। স্কুলের সম্পদক তথা শিল্পপতি সুশীল মিশ্র বলেন, ‘‘শুধু স্কুল নয়, ভাল ছাত্র তৈরিতে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।’’ স্কুলে এ ধরনের অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে আরও করার চেষ্টা করা হবে বলেও তাঁর আশ্বাস।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন