অমিতের সভার মাঠ দেখে গেলেন রাহুল

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ঝটিকা সফরে বর্ধমানে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। শুক্রবার তিনি বড়নীলপুরে সভার মাঠ পরিদর্শন করতে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, “তৃণমূল পরিচালিত বর্ধমান পুরসভার জন্যই আমরা শহরে বড় জায়গা পাইনি। অন্য রাজনৈতিক দল শহরের উৎসব ময়দান ও টাউন হলে সভার অনুমতি পেলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা হবে।” যদিও অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৮
Share:

বড়নীলপুরে রাহুল সিংহ। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে ঝটিকা সফরে বর্ধমানে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। শুক্রবার তিনি বড়নীলপুরে সভার মাঠ পরিদর্শন করতে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, “তৃণমূল পরিচালিত বর্ধমান পুরসভার জন্যই আমরা শহরে বড় জায়গা পাইনি। অন্য রাজনৈতিক দল শহরের উৎসব ময়দান ও টাউন হলে সভার অনুমতি পেলে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা হবে।” যদিও অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা।

Advertisement

২০ জানুয়ারি বর্ধমান দিয়েই রাজ্যে সফর শুরু করছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। জেলা বিজেপির আশা, এই সভায় দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলা থেকেও মানুষ আসবেন। তাই প্রথমে তাঁরা সভা করার জন্য উৎসব ময়দান চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু পুরসভা জানায়, ওই সময় সেখানে অন্য অনুষ্ঠান চলবে। তাই মাঠ দেওয়া যাবে না। সভার পরে অমিতবাবু জেলা বিজেপির কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। তার জন্য টাউন হল চাওয়া হলে সেটাও মেলেনি। পরে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সেই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সভার জন্য জায়গা চেয়েও না পাওয়ার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। গত নভেম্বরে কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের সভার অনুমতি পেতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল রাজ্য বিজেপিকে। এ দিন রাহুলবাবু অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের সরকার ষড়যন্ত্র করে আমাদের শহরের ভেতরে জনসভার জায়গা দেয়নি।” রাহুলবাবু মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবি, সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে মুকুলবাবু রাজনৈতিক আশ্রয় ও আইনী পথ খুঁজতেই দিল্লি গিয়েছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন। তবে ২০ তারিখের সভাতে সেরকম চমক থাকতে পারে কি না, সেই ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। জেলা বিজেপি (গ্রামীণ) সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিকের দাবি, “সভার দিনেও যদি পুরসভা অসহযোগিতা চালিয়ে যায় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” পুরপ্রধান স্বরূপ দত্তের পাল্টা দাবি, ২০ জানুয়ারি উৎসব ময়দানে আগে থেকেই অনুষ্ঠান ঠিক হয়ে রয়েছে। টাউন হল ভাড়া চাওয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতি মেনে আবেদন করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন