অসম্পূর্ণ জলাধার, সঙ্কটে বাসিন্দারা

দু’বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু প্রায় আট মাস ধরে থমকে রয়েছে জলাধার তৈরির কাজ। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে কার্যত পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গরমে জলের চাহিদা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। তার মধ্যে পানীয় জল না মেলায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০২:০৫
Share:

পূর্বস্থলীতে অসম্পূর্ণ জলাধার। —নিজস্ব চিত্র।

দু’বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু প্রায় আট মাস ধরে থমকে রয়েছে জলাধার তৈরির কাজ। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে কার্যত পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গরমে জলের চাহিদা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। তার মধ্যে পানীয় জল না মেলায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

Advertisement

পূর্বস্থলীর ওই এলাকাতেই প্রথম পানীয় জলে আসের্নিক মিশে থাকার প্রমাণ মিলেছিল। প্রায় দেড় দশক আগে মান্দ্রা গ্রামে একই পরিবারের সাত জন আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। পরে পূর্বস্থলীর দুই ব্লকেই ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। দোগাছিয়া-সহ ব্লকের বহু জায়গাতেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গভীর নলকূপ বসানো হয়। কিন্তু জলাধার না থাকায় ওই জল ধরে রেখে বিলি করার সুযোগ থাকে না। বিদ্যুৎ থাকলে নলবাহিত হয়ে সরাসরি জল পৌঁছে যায়। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি বা অন্য কোনও কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটলে পানীয় জল মেলা মুশকিল হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের সোনারুদ্র গ্রামে ২০০১ সালে পানীয় জলের দুটি প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। প্রকল্প চালু হলেও জলাধার না থাকায় সমস্যা রয়েই যায়। বছর দু’য়েক আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফেই জলাধার তৈরির উদ্যোগ করা হয়। ঠিক হয়, ৪৫ হাজার গ্যালনের ওই জলাধার থেকে শ্যামবাটী, বৈদ্যপুর, সোনারুদ্র ইত্যাদি এলাকায় পানীয় জল পাঠানো হবে। বাসিন্দাদের দাবি, জলাধার তৈরির কাজ বেশ কিছুটা এগোনোর পরে মাস আটেক আগে আচমকা তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে গায়ে অজস্র বাঁশ বাঁধা অবস্থাতেই চল্লিশ ফুটের ওই জলাধারটি পড়ে রয়েছে। কবে ফের কাজ চালু হবে তারও কোনও স্পষ্ট নির্দেশ নেই। ওই গ্রামেরই কামারশালের কর্মী বাসুদেব কর্মকার বলেন, “দিন-রাত মিলে তিন বার দু’ঘণ্টা করে জল আসে। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে জল মেলে না।” তাঁর দাবি, “জলাধার চালু হলে সবসময়েই বিশুদ্ধ জল পাওয়া যাবে।” পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, “ওই ঠিকাদারের আচমকা মৃত্যু হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে বলে শুনেছি। তবে দ্রুত কাজ শেষ করে ওই জলাধার চালু করার উদ্যোগ করা হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন