আবর্জনা ফেলতে বাধা বাসিন্দাদের

ফের বাসিন্দাদের বাধায় ফিরে গেল পুরসভার আবর্জনা বোঝাই গাড়ি। বুধবার ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানার পিছনে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আবর্জনা ফেলার জন্য বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পুর এলাকার আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে সমস্যা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৪ ০০:৪৯
Share:

ফের বাসিন্দাদের বাধায় ফিরে গেল পুরসভার আবর্জনা বোঝাই গাড়ি। বুধবার ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানার পিছনে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আবর্জনা ফেলার জন্য বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পুর এলাকার আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে সমস্যা চলছে। শহরের ফাঁকা জায়গায় আবর্জনা ফেলা শুরু হয়। কিন্তু প্রায় সব জায়গাতেই বাসিন্দারা বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ভগৎ সিংহ স্টেডিয়ামের সম্প্রসারিত অব্যবহৃত অংশে আবর্জনা ফেলা শুরু করে পুরসভা। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর পরে আবর্জনা ফেলা শুরু হয় দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানার পিছনের ফাঁকা জায়গায়। বাসিন্দারা আপত্তি জানাতে শুরু করেন। তার পরেও আবর্জনা ফেলা চলতেই থাকে।

এ দিকে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি চালু করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন বন্ধ কেন্দ্রটি চালু হয়। কিন্তু এক দিন পরেই সেটিতে আগুন লেগে যায়। তার পর থেকে আর সেটি চালু হয়নি। ফলে, ফের দুর্গাপুর কেমিক্যালস কারখানার পিছনের অংশেই আবর্জনা ঢালা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা ডাঁই হয়ে রয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টির জল আবর্জনার উপরে পড়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। এ ছাড়া এলাকায় বেড়েছে মশা, মাছির উপদ্রব। বুধবার সকালে পুরসভার গাড়িগুলি আবর্জনা ফেলতে যেতেই বাধা দেন বাসিন্দারা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, আর আবর্জনা ফেলতে দেবেন না তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে গাড়িগুলি ফিরে যায়। পুরসভা জানিয়েছে, আবর্জনা ফেলার জন্য অন্য জায়গার খোঁজ চলছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন