আসানসোলে ধৃত গ্যারাজ মালিকের পুলিশ হেফাজত

গ্যাস ছড়িয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় ধৃত নৌশাদ আলি খানকে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সুস্মিতা সেনচক্রবর্তী জানান, পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৪ ০১:৩৪
Share:

আদালতে নৌশাদ আলি খান।—নিজস্ব চিত্র।

গ্যাস ছড়িয়ে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় ধৃত নৌশাদ আলি খানকে। সরকার পক্ষের আইনজীবী সুস্মিতা সেনচক্রবর্তী জানান, পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেল থেকে আসানসোলের কুমারপুর ও গোপালপুর এলাকায় একটি গ্যারাজ থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি হন প্রায় চল্লিশ জন। মৃত্যু হয় দুই বৃদ্ধার। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই আটক করে গ্যারাজের মালিক নৌশাদ আলি খানকে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য জানা গিয়েছে। তাঁর কাছ থেকে প্রচুর কাগজপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এই সিলিন্ডারটি রানিগঞ্জের একটি কাগজের কারখানা থেকে ছাঁট লোহা হিসেবে কিনেছিলেন। যে কারখানা থেকে সেটি কেনা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ সেই কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেন গ্যাস ভর্তি ওই সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা হবে বলে। প্রয়োজনে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বৃহস্পতিবার এলাকার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। আতঙ্কে যাঁরা ঘর ছেড়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, বাসিন্দারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। বুধবারও গ্যাসের গন্ধ ছিল এলাকায়। এ দিন আর তেমন কিছু ছিল না। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানান, এ দিনও এলাকায় প্রশাসনের দল গিয়েছিল। চিকিত্‌সকদের একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দলও এলাকায় গিয়ে চুন ছিটোনোর কাজ করেছে। এলাকায় পুলিশ প্রহরা রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্যাস শনাক্ত করতে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন