একশো দিনের কাজ বন্ধ, চিন্তা রুজি নিয়ে

প্রায় মাস খানেক ধরে বন্ধ রয়ছে একশো দিনের কাজ। থমকে রয়েছে নালা পরিষ্কার, রাস্তা তৈরি-সহ পরিকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ। এর জেরে রুজি মিলছে না গ্রামের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের। এমনই হাল ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৫০
Share:

প্রায় মাস খানেক ধরে বন্ধ রয়ছে একশো দিনের কাজ। থমকে রয়েছে নালা পরিষ্কার, রাস্তা তৈরি-সহ পরিকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ। এর জেরে রুজি মিলছে না গ্রামের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের। এমনই হাল ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের।

Advertisement

অথচ বছর খানেক আগেও এমন হাল ছিল না গ্রামের। প্রশাসনের সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে পর্যন্তও একশো দিনের প্রকল্পে নজরকাড়া সাফল্য ছিল ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের। ২০১২-১৩ সালে ব্লকের সেরা পঞ্চায়েতের শিরোপাও জোটে। পুরস্কার জোটে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও। তবে এই পঞ্চায়েতেরই অন্তর্গত ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে গত বছর এপ্রিল মাস থেকে একশো দিনের প্রকল্পে কোনও কাজ হয়নি। অথচ ত্রিলোকচন্দ্রপুরের পাশেই থাকা পিয়ারিগঞ্জ, রাজকুসুম-সহ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে এখনও প্রকল্পের কাজ চলছে রমরমিয়ে। ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে কাজ চলছে না কেন? স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে এই প্রকল্পের টাকা আসতে খানিকটা দেরি হয়। তার জেরেই আপাতত কাজ হচ্ছে না।

গ্রামে কোনও কাজ না হওয়ায় বেশ কিছু পরিকাঠামোও ভেঙে পড়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। গ্রামের বাসিন্দা স্বদেশ সাহা, শুভদীপ সাহা, সুমন রায়দের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে গ্রামের নিকাশি নালাগুলি সাফাই হয়নি। তাঁদের আশঙ্কা, এর জেরে যে কোনও মুহূর্তে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে গ্রামে। রাস্তা পাকা নয়। মোরামও পড়েনি বেশ কয়েক বছর। এক বাসিন্দা জানান, গ্রামের রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে যাতায়াত করা দায় হয়ে পড়েছে।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামের অর্থনীতিও প্রভাবিত হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বেশির ভাগ বাসিন্দাই দিনমজুরি, খেতমজুরি করে রুজির সংস্থান করেন। একশো দিনের প্রকল্পে কাজ পেলে খানিকটা হলেও তাঁদের সুরাহা হতো বলে জানান বাসিন্দারা। গোপাল বাউরি, ধনু বাউরি, লক্ষ্ণণ হাঁসদাদের বক্তব্য, ‘‘একশো দিনের কাজ বন্ধ থাকায় রোজগার প্রায় বন্ধ। অনেক সময় বাইরে গিয়েও কাজ খুঁজতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের।’’ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ মুরশিদ আলির যদিও আশ্বাস, ‘‘ত্রিলোকচন্দ্রপুরে দ্রুত একশো দিনের প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন