এটিএমে জালিয়াতি, টাকা ফেরাল ব্যাঙ্ক

এটিএম কাউন্টার থেকে জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এক গ্রাহক। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি জালিয়াতি বলে মনে হওয়ায় ঘটনার প্রায় চার মাস পরে টাকা ফিরিয়ে দিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে কী ভাবে এই দুষ্কর্ম তা এখনও জানতে পারেননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০০:৩২
Share:

এটিএম কাউন্টার থেকে জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন এক গ্রাহক। প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি জালিয়াতি বলে মনে হওয়ায় ঘটনার প্রায় চার মাস পরে টাকা ফিরিয়ে দিলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে কী ভাবে এই দুষ্কর্ম তা এখনও জানতে পারেননি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করানো হচ্ছে বলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়।

Advertisement

শহরাঞ্চলে এটিএম কাউন্টার থেকে জালিয়াতি করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বারবার। আসানসোল ও দুর্গাপুরের একাধিক এটিএম কাউন্টার থেকে গ্রাহকদের টাকা হাতানোর অভিযোগ হয়েছে পুলিশ ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু দু’পক্ষই নিজেদের দায়িত্ব কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন বলে দাবি গ্রাহকদের। অভিযোগ, এ সব ক্ষেত্রে পুলিশ দাবি করে, এটি একেবারেই ব্যাঙ্কের বিষয়। তারা অপরাধী চিহ্নিত করুক, পুলিশ তাদের ধরে দেবে। আবার ব্যাঙ্কের দাবি, অপরাধী ধরার কাজ পুলিশের। অভিযোগ পাওয়ার পরে তারাই অপরাধী ধরুক। এই টানাপড়েনের মধ্যে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হন বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। শেষমেশ পরিস্থিতি সামলাতে এটিএম কাউন্টারগুলিতে নিরাপত্তারক্ষী বসানোর ব্যবস্থা করেছে ব্যাঙ্কগুলি।

আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন এলাকার এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক, পেশায় আইনজীবী অসীম রায়চৌধুরী লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, গত বছর ১২ নভেম্বর তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে তিন খেপে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। তিনি ব্যাঙ্কের খাতা থেকে জানতে পারেন, এই টাকা কলকাতায় বড়িশার কাছে একটি এটিএম কাউন্টার থেকে তিন দফায় তোলা হয়েছে। তা জানার পরেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অসীমবাবু। তিনি বলেন, “তখন আমি ও আমার পরিবার আসানসোলে ছিলাম। এটিএম কার্ডও আমার কাছে ছিল। ফলে, কলকাতার এটিএম থেকে টাকা তোলার প্রশ্ন নেই।”

Advertisement

তিনি বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানান। আসানসোল দক্ষিন থানাতেও অভিযোগ করেন। কিন্তু বারবার ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হলেও কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ কোনও হেলদোল দেখানো হয়নি বলে তাঁর দাবি। শেষে ওই আইনজীবী ব্যাঙ্কের সহকারী জেনারেল ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ করেন। শেষে ১৪ মার্চ অসীমবাবুকে ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার টাকা জমা করা হয়েছে। ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এজিএম মনোরঞ্জন হালদার জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে, ওই গ্রাহক এই টাকা তোলেননি। তাঁর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। সেই তদন্ত এখনও চলছে। কী পদ্ধতিতে এই দুষ্কর্ম, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। এজিএম মনেরঞ্জনবাবু জানান, গ্রাহকদের সচেতন করতে সম্ভাব্য দুষ্কর্মগুলি বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন