এনসিসি ও রাজ কলেজের বিবাদে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ

মহকুমা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় রাজ কলেজের মাঠ সমস্যার আংশিক সমাধান হল মঙ্গলবার। সপ্তাহ খানেক আগে ওই মাঠ ঘিরতে গিয়ে এনসিসি কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়েছিল কলেজ। এনসিসির দাবি ছিল মাঠ ঘেরা হলে তাঁদের মাঠ সংলগ্ন আবাসনে ঢোকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। এর পর প্রশাসনের নির্দেশে দু’পক্ষই আমিন নিয়ে এসে মাঠের মাপজোক করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share:

মহকুমা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় রাজ কলেজের মাঠ সমস্যার আংশিক সমাধান হল মঙ্গলবার। সপ্তাহ খানেক আগে ওই মাঠ ঘিরতে গিয়ে এনসিসি কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়েছিল কলেজ। এনসিসির দাবি ছিল মাঠ ঘেরা হলে তাঁদের মাঠ সংলগ্ন আবাসনে ঢোকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। এর পর প্রশাসনের নির্দেশে দু’পক্ষই আমিন নিয়ে এসে মাঠের মাপজোক করে। তাতেও সমাধানসূত্র না মেলায় বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক স্বপন কুণ্ডু এ দিন দু’পক্ষকে বৈঠকে ডেকেছিলেন।

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচের দশক থেকে রাজ কলেজের মাঠ ব্যবহার করে এনসিসির বর্ধমান ডিভিশন। মাঠের পাশে নিজেদের আবাসন তৈরি করেছে তাঁরা। অন্য দিকে, বর্ধমান রাজ পরিবার ওই জমিটি রাজ কলেজকেই ব্যবহার করার জন্য দান করেছিলেন। মহকুমাশাসক বলেন, “একটি রাস্তার বাঁক নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেটিকে ১১ মিটার ছেড়ে ও মাঠের চার দিকে চার মিটার ছেড়ে দিয়ে কলেজ গোটা মাঠ ঘিরে নেবে।”

যদিও মহকুমা শাসকের এই সিদ্ধান্তের পরেও এনসিসি ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে কতখানি সরবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারকেশ্বর মণ্ডলের দাবি, “ওই ৫২ বিঘের মাঠ ও সংলগ্ন পুকুর বর্ধমান রাজ বাড়ি ১৯৫৪ সালে রাজ কলেজকে দিয়েছিল। আমাদের নতুন গার্লস হস্টেল তৈরির জন্য ওই মাঠ ঘেরার প্রয়োজন রয়েছে।” অন্য দিকে, এনসিসির বর্ধমান গ্রুপ কম্যান্ডার কর্ণেল অজিত সিংহ বলেন, “প্রতিরক্ষা দফতর মাঠটি দীর্ঘদিন আগে আমাদের লিজে দিয়েছিল। তাই ওই মাঠ আমরা ছাড়তে পারি না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন