মৃতের স্বজনের সঙ্গে কথা বলছেন সুভাষ সরকার। নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে অনটনের অভিযোগে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহকর্তা, কাঁকসায় এমন অভিযোগ দায়ের করা পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকার-সহ দলের নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে রাজ্য সরকার, কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও তৃণমূল এ কথা মানতে চায়নি। তাদের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই একশো দিনের কাজ বন্ধ আছে। বকেয়াও পাওয়া যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ভোরে কাঁকসার ৩ নম্বর কলোনির বাসিন্দা বিপ্লব সমাদ্দারের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যেরা। এর পরেই সে দিন বিকেলে মৃতের ছেলে অরিন্দম সমাদ্দার পুলিশের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে। সেখানে সে উল্লেখ করে, তাদের পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার জন্য তার বাবা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এমনকী, একশো দিনের কাজের বকেয়াও পাননি। সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হন।
শুক্রবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসে বিজেপি-র প্রতিনিধি দলটি। সেখানে ছিলেন সুভাষ সরকার, অখিল মণ্ডল, নরেশ কোনার প্রমুখরা। সুভাষবাবু জানান, ওই ব্যক্তি মাত্র তিন দিন একশো দিনের কাজ করেছিল। তাঁর বকেয়াও কিছু ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি একশো দিনের কাজ করাতে পারছে না। তা ছাড়া ওই ব্যক্তির কোনও বিপিএল কার্ডও নেই। রাজ্য সরকার উন্নয়নের কোনও ব্যবস্থাই করছে না দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি। পরিবারকে সব রকম সাহায্য করা হবে।” একশো দিনের কাজ বন্ধের পিছনে কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ঠিক মতো কাজও দিতে পারছে না। এই ব্যক্তি মার্চে তিন দিন কাজ পেয়েছেন। তার পর কেন কাজ পাননি?” তিনি অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তি তৃণমূলের ঝান্ডা না ধরায় কাজ পাননি।
যদিও এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূলের পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, বিজেপি এখানে রাজনীতি করতে এসেছে। তিনি বলেন, “আমার পরিবারের পাশেই আছি। ভবিষ্যতেও থাকব।” শুক্রবার সকাল থেকে অনেকেই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ব্লকের একটি প্রতিনিধি দলও মৃতের বাড়িতে যায়। তার প্রতিনিধিরা জানান, তাঁকে প্রশাসনিক দিক থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে। কাঁকসা থানার তরফে সাহায্য করা হয়েছে।