কর্মীর অভাব, ডাকঘরের পরিষেবা শিকেয় দাঁইহাটে

কর্মী কম থাকায় দাঁইহাটের আদর্শ ডাকঘরে কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না পরিষেবা। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন অনেকে ডাকঘরের ভিতরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিন কয়েক আগে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা ডাক বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট দফতরে চিঠি দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দাঁইহাট শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০১:৫০
Share:

লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রাহকেরা।—নিজস্ব চিত্র।

কর্মী কম থাকায় দাঁইহাটের আদর্শ ডাকঘরে কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না পরিষেবা। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাকালীন অনেকে ডাকঘরের ভিতরেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিন কয়েক আগে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা ডাক বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট দফতরে চিঠি দিয়েছেন।

Advertisement

জেলা ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁইহাটের এই ডাকঘরটি ২০০৯ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর আদর্শ ডাকঘর বলে ঘোষিত হয়। এখানে ডাক বিভাগের নিয়মিত কাজকর্ম ছাড়াও বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার কথা। প্রতি দিনই বেশ কিছু স্পিড পোস্ট ও রেজিস্ট্রি ডাকের বুকিং হয় এই ডাকঘর থেকে। কিন্তু বর্তমানে প্রায় কিছুই মিলছে না বলে অভিযোগ। দাঁইহাটের পোস্ট মাস্টার সাধনচন্দ্র দাসের দাবি, “কর্মী কম থাকায় ফলেই এই সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে মাত্র একজন কর্মী নিয়ে ডাকঘর চালাতে হচ্ছে।”

সমস্যার শুরু বছর খানেক আগে থেকে। দাঁইহাট ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এখানে ছ’জন কর্মী ছিলেন। কিন্তু কমতে কমতে সেই সংখ্যা এখন একে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে আদর্শ ডাকঘরের শুধু নামটুকুই রয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, মানি অর্ডার, স্বল্প সঞ্চয়, টার্ম ডিপোজিট, এমআইএস দূরের কথা, সম্প্রতি এখান থেকে ডাক টিকিট ও রেভেনিউ স্ট্যাম্পও মিলছে না। ডাকঘরের কাউন্টারগুলি বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে ২টোর বেশি খোলা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।

Advertisement

দাঁইহাটের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেবীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কম্পিউটার খারাপ রয়েছে জানিয়ে বেশির ভাগ দিনই গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলাল দত্ত, দীপক মণ্ডল, অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ডাকঘরে যে কাজগুলি কয়েক ঘণ্টাতেই মিটে যাওয়ার কথা, সেগুলি ১৫ দিনের আগে মিটছে না।

জেলা ডাক বিভাগের কর্তাদের অবশ্য দাবি, দাইহাটের ডাকঘরে যে পরিমাণ কাজ হয় সেটা এক জন কর্মীর পক্ষেই সামাল দেওয়া সম্ভব। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, “সমস্যা বাড়লে ওই ডাকঘরে আরও এক জন কর্মী দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন