চলছে কাজ।—নিজস্ব চিত্র।
যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে প্রায় ছ’ঘণ্টা আটকে রইল দিল্লিগামী পূর্বা এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে নতুন কামরা আনার পর ট্রেনটি দুর্গাপুর ছাড়ে। পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বনাথ মুর্মূ বলেন, “রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মত পূর্বা এক্সপ্রেসেও বিশেষ ধরণের কামরা ব্যবহার করা হয়। সেটি হাওড়া থেকে নিয়ে আসতে হয়েছে। সেজন্যই এতক্ষণ ট্রেনটি আটকেছিল দুর্গাপুরে।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া-নিউদিল্লি আপ পূর্বা এক্সপ্রেস দুর্গাপুর স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। তারপরেই এস-৭ কামরার টিকিট পরীক্ষক স্টেশন কর্তৃপক্ষকে জানান, ওই কামরার নিচে ধোঁয়া ও আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে। খবর পেয়ে দুর্গাপুর স্টেশনে আসেন রেলের আসানসোল ডিভিশনের সহকারি ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ঈশাক খান, সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার এ কে মিশ্র, সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার এ উপাধ্যায়-সহ উচ্চপদস্থ রেলকর্তারা। দুপুর ১২টা নাগাদ এস-৭ কামরাটিকে আলাদা করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই কামরার একটি চাকার ‘রোলার বিয়ারিং’ আটকে গিয়েছে। ফলে চাকাটি সাবলীল ভাবে ঘুরতে না পেরে ঘর্ষণ হচ্ছে। সে জন্যই আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। হাওড়া থেকে নতুন কামরা আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। নতুন কামরা আসার পরে বিকেল ৪টে ১২মিনিট নাগাদ ট্রেনটি দুর্গাপুর ছেড়ে যায়।
এস-৭ কামরার যাত্রী সমীর ডিজালি, অনিমা ঘোষেরা জানান, বর্ধমান স্টেশন ছাড়ার পরেই ট্রেনের নিচে অস্বাভাবিক আওয়াজ হচ্ছিল। পোড়া গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পরেই ধোঁয়া এবং আগুনের ফুলকি দেখা যায়। এরপরেই আতঙ্কিত যাত্রীরা ওই কামরার টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানান। দুর্গাপুরে ট্রেন থামতেই যাত্রীরা স্টেশনে নেমে পড়েন। যাত্রীদের অভিযোগ, একটি চাকার সমস্যার জন্য পুরো ট্রেনের যাত্রীদের হয়রানি হল। উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ হলে এই ঘটনা ঘটত না।
এ দিনই বিকেলে আনন্দবিহার-কলকাতা এক্সপ্রেস ট্রেনের মালবাহী কামরায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকল ও রিলিফ ট্রেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেল ৫টা নাগাদ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত বিহারের নরগঞ্জ ও ঝাঁঝা স্টেশনের মাঝে ওই ট্রেনের চালক দেখেন ইঞ্জিনের পরের মালবাহী কামরাটি থেকে আগুন বেরোচ্ছে। তখনই ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। মালবাহী কামরাটিকে ইঞ্জিন ও যাত্রী কামরা থেকে আলাদা করা হয়। খবর দেওয়া হয় ঝাঁঝা স্টেশনে।