জামিন সত্ত্বেও গ্রেফতার, তলব কোর্টে

জেলা আদালত আগেই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তারপরেও তাকে গ্রেফতার করেন মন্তেশ্বর থানার এক এএসআই। কেন এমনটা ঘটল তা জানতে সোমবার পরিমল মণ্ডল নামে ওই এএসআইকে তলব করে এসিজেএম আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লকের গাঁতগরিয়া গ্রামের এক বর্গা চাষি আব্দুল আলিম শেখ ও তাঁর পরিবারের লোকজন এলাকার ইমানি শেখ নামে এক ব্যক্তির জমি বহু দিন ধরেই বর্গায় চাষ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪২
Share:

জেলা আদালত আগেই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তারপরেও তাকে গ্রেফতার করেন মন্তেশ্বর থানার এক এএসআই। কেন এমনটা ঘটল তা জানতে সোমবার পরিমল মণ্ডল নামে ওই এএসআইকে তলব করে এসিজেএম আদালত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তেশ্বর ব্লকের গাঁতগরিয়া গ্রামের এক বর্গা চাষি আব্দুল আলিম শেখ ও তাঁর পরিবারের লোকজন এলাকার ইমানি শেখ নামে এক ব্যক্তির জমি বহু দিন ধরেই বর্গায় চাষ করেন। ২১ জানুয়ারি আব্দুল আলিম শেখ মন্তেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানান, গ্রামের চার জন, আনোয়ার আলি শেখ, সাহেব শেখ, বাদশা শেখ এবং হাবিবুল্লা শেখ জোর করে তাঁর জমি দখল করতে যায়। তাতে বাধা দিলে ওই চার জন হাঁসুয়ার উল্টো দিক দিয়ে তাঁর ছেলের মাথায় আঘাত করে এবং তাঁকে খুনের চেষ্টা করে। পরে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে আনোয়ার শেখ জামিনের আবেদন জানান জেলা আদালতে। ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা এবং দায়রা জজ তাঁর জামিন মঞ্জুরও করে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি মন্তেশ্বর থানার পুলিশ আনোয়ার শেখতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বলে তাঁর দাবি। ২২শে ফেব্রুয়ারি তাঁকে কালনা এসিজেএম আদালতে তোলাও হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়। আনোয়ার শেখের আইনজীবী চঞ্চল রাহা বিচারক সৌগত চক্রবর্তীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, জেলা আদালত তাঁর মক্কেলের জামিন মঞ্জুর করার পরেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারকের কাছে জামিনের কপিও তুলে দেন তিনি। এরপরই এসিজেএম আদালত ধৃত আনোয়ারের জামিন মঞ্জুর করে। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী অফিসারকে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে কেন এমন ঘটল তা জানানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

সোমবার আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার পরিমলবাবু স্বীকার করেন, তাঁর ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে। আইনজীবী চঞ্চলবাবু বলেন, “অগ্রিম জামিন চেয়ে কেউ উচ্চ আদালতে গেলে মামলার তদন্তকারী অফিসারকেও কেস ডায়েরি নিয়ে শুনানির দিন আদলতে হাজির হতে হয়। ফলে আদলতের নির্দেশ স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তকারী অফিসারের কাছে পৌঁছে যায়। এ ক্ষেত্রে মন্তেশ্বর থানার ওই এএসআই কেন তা জানতে পারলেন না তা বোধগম্য হচ্ছে না।” এ দিন মামলার বাকি তিন অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন