জাল চেক দিয়ে প্রতারণা, ধৃত কাঁকসায়

গ্রামবাসীদের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে কাঁকসার রক্ষিতপুরের আদিবাসী গ্রামের ঘটনাটি ঘটে। গ্রামবাসীরা জানান, রবিবার কার্তিক মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি গ্রামে এসে জানান, গ্রামবাসীরা প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে তাঁর কাছে জমা করলে তিনি তাঁদের ৪০ হাজার টাকা করে ফেরত দেবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৩
Share:

ধৃত কার্তিক। —নিজস্ব চিত্র।

গ্রামবাসীদের টাকার লোভ দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে কাঁকসার রক্ষিতপুরের আদিবাসী গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।

Advertisement

গ্রামবাসীরা জানান, রবিবার কার্তিক মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি গ্রামে এসে জানান, গ্রামবাসীরা প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে তাঁর কাছে জমা করলে তিনি তাঁদের ৪০ হাজার টাকা করে ফেরত দেবেন। অনেকেই ১০০ টাকার বিনিময়ে ৪০ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় পরের দিন টাকা দিতে রাজিও হয়ে যান। সেই মতো সোমবার সকালে গ্রামে আসেন কার্তিক। প্রায় শ’খানেক বাসিন্দারা তাকে ১০০ টাকা করে জমাও দেন। সঙ্গে সঙ্গেই বাসিন্দাদের ৪০ হাজার টাকার চেকও দিয়ে দেন তিনি। গ্রামের রবি টুডু, সুনীল বাস্কেরা জানান, প্রথমে কোনও সন্দেহ হয়নি। হাতে চেক পেয়ে সবাই খুশি হয়ে ওঠে। চেক ভাঙানোর তারিখ দেওয়া ছিল ২ এপ্রিল। কিন্তু চেকগুলি হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ভাল করে দেখার পরেই তাঁদের মনে হয় কোনও গোলমাল আছে। সন্দেহ হওয়ায় সমস্ত চেকগুলিই খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। বোঝা যায়, চেকগুলি জাল। এরপরেই কার্তিকের উপর চড়াও হন তাঁরা।

গ্রামেরই আদিবাসী পাড়ায় এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে সদলবলে ছুটে আসেন রক্ষিতপুর গ্রামের বাসিন্দা চণ্ডীচরণ রায়। তিনি জানান, আদিবাসীদের সকলেই খুব কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে। সেখানে কোনও এক ব্যক্তি ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে জানতে পেরে ছুটে আসেন তিনি। তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তিকে এ’বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আদিবাসীদের উন্নয়নে এই সাহায্য করা হচ্ছে। তবে মুখে সাহায্যের কথা বললেও তাঁর দেওয়া চেকগুলি সবই জাল বলে অভিযোগ চণ্ডীবাবুর। তিনি বলেন, “এরপরে আমরা ওই ব্যক্তির আর কোনও কথা না শুনে পুলিশকে ডাকি। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।”

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আসানসোলের ওই ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছে যে সে ঝাড়খণ্ডের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করে। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তিনি এ দিন ওই চেকগুলি দিতে এসেছিলেন। তবে পুলিশ সে কথায় বিশ্বাস না করে তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই দলের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, দলের পাণ্ডা কে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কোথাও ওই চক্রটি তারা এ ধরণের কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তাও জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন