জমির দালাল খুনে গ্রেফতার ২

মোবাইলের সূত্রে ধরে খুনে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। নিহতের মোবাইলটিও ঘটনাস্থলের কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বর্ধমান থানার নাদরার কাছে অশোক দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ মেলে। শরীরের নানা জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও ছিল। পরে নিহতের বাড়ির লোকেরা খুনের অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় কাঁদর সোনার বাসিন্দা সুমন রায় নামে এক ব্যক্তির ফোন পেয়েই বাড়ির বাইরে বের হন অশোক। আর ফেরেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৪ ০০:৪৯
Share:

ধৃত সুমন ও বিল্বমঙ্গল। —নিজস্ব চিত্র।

মোবাইলের সূত্রে ধরে খুনে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। নিহতের মোবাইলটিও ঘটনাস্থলের কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বর্ধমান থানার নাদরার কাছে অশোক দাস (৫০) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ মেলে। শরীরের নানা জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্নও ছিল। পরে নিহতের বাড়ির লোকেরা খুনের অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় কাঁদর সোনার বাসিন্দা সুমন রায় নামে এক ব্যক্তির ফোন পেয়েই বাড়ির বাইরে বের হন অশোক। আর ফেরেননি।

তদন্তে নেমে সুমনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় ভোতার পাড়ের বাসিন্দা বিল্বমঙ্গল দাসের সঙ্গে ঘটনার আগের দিন জমির দালাল অশোকবাবুর প্রচুর কথা হয়েছিল। খুনে জড়িত সন্দেহে বিল্বমঙ্গলকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক স্বীকার করেছে যে অশোককে তাঁরাই খুন করেছেন। তারা জানান, কিছুদিন আগে নবাবহাটের কাছে একটি জমি বিক্রির পরে অশোকের কাছ থেকে কমিশন বাবদ ২ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল তাঁদের। সেই টাকা দিতে অশোক প্রথমে টালবাহানা করে, পরে অস্বীকারও করে। সেই আক্রোশেই অশোককে খুন করেন তাঁরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিষ্ঠুর ভাবে খুন করা হয় অশোকবাবুকে। প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে, পরে খুর চালিয়ে তাঁর কণ্ঠনালি কেটে দেওয়া হয়। পেটেও কোপ মারা হয়। থেতলে দেওয়া হয় মুখ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই দুই যুবককে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর থেকে নিহতের মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত খুরটিও ওই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। এরপরেই এঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত বিল্বমঙ্গল আসানসোলের একটি কলেজের শিক্ষকের গাড়ি চালান। আর সুমন জমির দালালি করেন। তিনিই একটি জমির ক্রেতাকে অশোকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে অশোক ওই ক্রেতাকে নবাবহাটের একটি জমি চড়া দামে বিক্রি করলেও, বিল্বমঙ্গল ও সুমনের প্রাপ্য কমিশন দিতে অস্বীকার করেন। শুক্রবার এই দুই যুবককে আদালতে তোলা হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মিরাজ খলিদ বলেন, “জেরায় দুই ধৃত জানিয়েছেন জমির কমিশন নিয়ে গোলমালের জেরেই এই খুন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন