ট্রান্সফর্মার বসানোর দাবি তুলে জল ফেলতে বাধা কোলিয়ারিকে

গ্রামে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসানো-সহ ৮ দফা দাবিতে টানা ৯ দিন ধরে চারটি খনির ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল বাইরে ফেলতে দিচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। অন্ডালের বহুলা গ্রামের ঘটনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইসিএল সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখছে না। যদিও অভিযোগ মানেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:০৩
Share:

গ্রামে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার বসানো-সহ ৮ দফা দাবিতে টানা ৯ দিন ধরে চারটি খনির ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল বাইরে ফেলতে দিচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। অন্ডালের বহুলা গ্রামের ঘটনা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইসিএল সামাজিক উন্নয়নের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখছে না। যদিও অভিযোগ মানেনি ইসিএল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

বহুলা গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, সংস্থা জাতীয়করণ হওয়ার পরে ইসিএল প্রতিটি খনি এরিয়া থেকে ৫ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিনা খরচে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দা এরিয়ায় খনির আশপাশে সামাজিক উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। এর প্রতিবাদে ছোড়া খোলামুখ খনি, বহুলা কোলিয়ারি, ছোড়া ৭/৯ এবং সিএল জামবাদ ভূগর্ভস্থ খনির জল চাষের জমিতে ফেলতে বাধা দিচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা তোতন মণ্ডল, দিবাকর পাল, অনিতকুমার পালের অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁদের গ্রামে ইসিএলের ট্রান্সফর্মারটি বিকল হয়ে গিয়েছে। ফলে ইসিএলের বিদ্যুৎ মিলছে না। রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ পরিষেবার উপরে ভরসা করতে হচ্ছে। কিন্তু তাতে চাহিদা মিলছে না। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আগে ট্রান্সফর্মারের ক্ষমতা ছিল ৫০ কেবি। এ বার সেখানে ২০০ কেবির ট্রান্সফর্মার বসাতে হবে।

Advertisement

বহুলা গ্রামের বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের কলে মাসে তিন দিনের বেশি জল পাওয়া যায় না। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে কুয়ো ও পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। গ্রামের বেহাল রাস্তার সংস্কার হয় না। রাস্তা সংস্কার করে দু’পাশে নর্দমা তৈরি করে দেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, খনি এলাকা বাড়ানোর জন্য পুরনো দামে তাঁরা ব্যক্তিগত জমি দেবেন না। ১০০ একর জমিতে কম পক্ষে ২০ জন স্থানীয় বেকারের চাকরির দাবি করেছেন তাঁরা। দাবি মানা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বগুলা গ্রামের বাসিন্দারা।

ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “ওই চারটি কোলিয়ারির জল বিকল্প পথে বের করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।” বিকল ট্রান্সফর্মার সারানোর কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সামাজিক উন্নয়ন ইসিএল নিয়মিত করে থাকে। ওই গ্রামে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাই বার বার ট্রান্সফর্মার বিকল হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন