সভায় ঢুকছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
একদিকে সারদা, আরেক দিকে বিজেপির উত্থানে মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলেরশুক্রবার বর্ধমানের টাউনহলের সভায় তৃণমূলকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।
তিনি আরও বলেন, “নিজেদের বাঁচাতে এখন সিপিএমের হাত ধরেছে তৃণমূল। নবান্নে ডেকে সিপিএমের নেতাদের ফিশফ্রাই খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন, সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা কিন্তু বিজেপির সরকার করেনি। তা হয়েছে ইউপিএ ২ সরকারের আমলে সুপ্রিম র্কোটের নির্দেশে। তবে তদন্ত জোর কদমে শুরু হয়েছে। এ থেকে তৃণমূলও বাঁচবে না, সিপিএমও বাঁচবে না।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “ছাত্রীরা এখন আর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ নয়। অভিভাবকেরা তাঁদের নিয়ে চিন্তিত। পুলিশের ভূমিকাও ঠিক নেই। সাদা পোশাকের পুলিশ গিয়ে মারধর করছে আর প্রশাসন বলছে, ওরা পুলিশ নাকী? বহিরাগত!”
এ দিনের সভায় প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) দেবীপ্রসাদ মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ নন্দী। হাজির ছিলেন গ্রামীণ এলাকার ১৪টি ব্লকের কর্মীরা। সভায় ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতা তথা লোকসভা ভোটে বীরভূমের প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, সামনের বিধানসভায় বুথের ২০০ মিটার দূরে যেন রাজ্যে পুলিশকে মোতায়েন করানো হয় আর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যেন ভোট করানো হয় এমন আবেদনই আমরা মোদিজিকে জানাব। কারণ তৃণমূল ভাবছে, পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভার মতো ভোট লুঠ করে ওরা ক্ষমতায় ফিরবে।” রাহুল সিংহও কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এখন থেকেই তৈরি হন। প্রতিটি বুথে নির্বাচনী বাহিনী তৈরি করুন। সারদা কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্যে দেয়াল লিখনের মাধম্যে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিন।” তবে বিজেপির সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শহরে কৌতুহল ছিল। দুপুর ২টোয় সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১২টা থেকেই গ্রামগঞ্জ থেকে লোক এসে ময়দান ভরিয়ে ফেলেন।