মানকর-মোরবাঁধ রাস্তা

দু’দশক সংস্কার নেই, বাস চালাতে নারাজ মালিকেরা

প্রায় দু’দশক ধরে পূর্ণ সংস্কার হয়নি। মাঝেমধ্যে আংশিক সংস্কার হলেও তাতে লাভ বিশেষ হয়নি। ফলে, মানকর থেকে ভাতকুন্ডা হয়ে মোরবাঁধ যাওয়ার রাস্তা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে সেখান দিয়ে চলা গুটিকয়েক বাসও প্রায়ই বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকেরা। বিপাকে পড়ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্তরে বাসিন্দারা আবেদনও করেছেন। ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই রাস্তাটির সংস্কার হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বুদবুদ শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৯
Share:

দীর্ঘ দিন ধরে এই হাল রাস্তার। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় দু’দশক ধরে পূর্ণ সংস্কার হয়নি। মাঝেমধ্যে আংশিক সংস্কার হলেও তাতে লাভ বিশেষ হয়নি। ফলে, মানকর থেকে ভাতকুন্ডা হয়ে মোরবাঁধ যাওয়ার রাস্তা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে সেখান দিয়ে চলা গুটিকয়েক বাসও প্রায়ই বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকেরা। বিপাকে পড়ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্তরে বাসিন্দারা আবেদনও করেছেন। ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, শীঘ্রই রাস্তাটির সংস্কার হবে।

Advertisement

মানকর স্টেশন থেকে শুরু হয়েছে এই রাস্তা। গলসি ১ ও আউশগ্রাম ২ ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম সেটির উপরে নির্ভরশীল। মানকরে স্টেশন, কলেজ, বেশ কিছু সরকারি অফিস থাকায় নানা কাজে আসেন বহু মানুষ। প্রত্যেককেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। আবার মোরবাঁধেও একই কারণে যাতায়াত করতে হয় অনেককে। বাসিন্দারা জানান, মানকর থেকে সহজে ভেদিয়া বা বোলপুর যেতেও অনেকে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল। ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তাই এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করা মুশকিল।

বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে সাতটি বাস যাতায়াত করত। সেগুলি ভেদিয়া, মোরবাঁধ পর্যন্ত যেত। কিন্তু রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এখন মাত্র দু’টি বাস এই রুটে চলছে। বাসিন্দারা দাবি করেন, বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জেনেছেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার ফলে বাসের অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে, বাস চালিয়ে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হচ্ছে। তাই অনেক মালিক বাস বিক্রি করে দিচ্ছেন। বাসিন্দারা জানান, এই এলাকার মানুষজনের পরিবহণের একমাত্র মাধ্যম বাস। এখন তার সংখ্যায় কমে যাওয়ায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভাতকুন্ডার গুরুচরণ মণ্ডল জানান, তাঁদের এলাকার অনেকে প্রতি দিন ভেদিয়া, মোরবাঁধ বা বোলপুরে যান। তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। তা ছাড়া ব্লক অফিস থেকে হাসপাতাল যাওয়ার জন্য বাসের উপরেই নির্ভর করতে হয়। তিনি বলেন, “মানকর কলেজ, ট্রেনের যাত্রীরাও আছেন, যাঁদের প্রতি দিন মানকরে যেতে হয়। সময়মতো বাস না থাকায় অনেকের কাজই পণ্ড হয়ে যাচ্ছে।”

Advertisement

এই রুটে বাস চালান বুদবুদের সুব্রত সিংহরায়। বর্ধমান থেকে তাঁর একটি বাস ভেদিয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পুরনো বাসটির এতই খারাপ অবস্থা যে সেটিকে গ্যারাজে পাঠাতে হয়েছে। বাসের এই অবস্থার জন্য রাস্তাকেই দায়ী করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “মাঝেমধ্যে পাথর, ইট দিয়ে রাস্তা ভরাট করা হলেও তা বেশি দিন টেকে না।” সুব্রতবাবু দাবি করেন, রাস্তার মাঝে এমন গর্ত তৈরি হয়েছে যে যাত্রী নামিয়ে বাস পার করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “এখন ওই রুটে অন্য মালিকের কাছে থেকে ভাড়া নিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেই মালিক জানিয়ে দিয়েছেন, যদি রাস্তার কারণে বাসের ক্ষতি হয় তাহলে তিনিও বাস তুলে নেবেন।” সুব্রতবাবুর দাবি, যদি রাস্তা ঠিক না হয় তাহলে তিনিও ওই রুটের বাস বন্ধ করে দেবেন।

আউশগ্রাম ২ বিডিও দীপ্তিময় দাস জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে রাস্তা সারানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। পুজোর আগে আংশিক সংস্কার হবে বলে আশ্বাস তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন