দুপুরে রোদ এড়াতে আটচালায় কর্মিসভা

সকাল সাড়ে দশটার পর থেকেই রোদের পারা ক্রমশ চড়ছে। কৃষি দফতরের হিসেবে জেলার কৃষি এলাকায় দুপুরের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে চল্লিশ ডিগ্রির আশপাশে। ফলে বেলা বাড়লেই রাস্তা, ঘাট, বাজার কার্যত জনমানবহীন হয়ে পড়ছে। ফাঁকা রাস্তায় প্রচার না করে রোদের সময়টায় প্রচারের কৌশল বদলে ফেলছে রাজনৈতির দলগুলিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৪ ০২:১০
Share:

গরম থেকে বাঁচতে চোখ-মুখ ঢেকে রাস্তায়। বর্ধমানে নিজস্ব চিত্র।

সকাল সাড়ে দশটার পর থেকেই রোদের পারা ক্রমশ চড়ছে। কৃষি দফতরের হিসেবে জেলার কৃষি এলাকায় দুপুরের তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে চল্লিশ ডিগ্রির আশপাশে। ফলে বেলা বাড়লেই রাস্তা, ঘাট, বাজার কার্যত জনমানবহীন হয়ে পড়ছে। ফাঁকা রাস্তায় প্রচার না করে রোদের সময়টায় প্রচারের কৌশল বদলে ফেলছে রাজনৈতির দলগুলিও।

Advertisement

সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই জানাচ্ছেন, একে তো রোদে রাস্তায় লোকজন তেমন দেখা যাচ্ছে না, তার উপর এই গরমে দলীয় নেতা কর্মীদের অসুস্থ হয়ে পড়ারও ঝুঁকি রয়েছে। ফলে অনেকেই গ্রামের আটচালা বা কোনও ঘেরা জায়গায় বসে কর্মিসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই সময়ে। মন্তেশ্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি জানান, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সেভাবে সভা করা যাচ্ছে না। রাতে কিছুটা বেশি প্রচার করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা চলছে। বিজেপির জেলা সভাপতি রাজীব ভৌমিকও বলেন, “দুপুরে গরম হাওয়ায় মিছিল হোক বা রোড-শো, করাটাই কঠিন। তাই ওই সময়টা কর্মিসভা করছি। আবার রোদ পড়তেই প্রচারে বেরিয়ে পড়ছি।” মন্তেশ্বরের তৃণমূল সভাপতি সজল পাঁজাও বলেন, “দুপুরে পথসভা করাটা বেশ শক্ত। আবার সময়ও বেশি নেই। তাই নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে দুপুরে গ্রামের আটচালা বা ছায়াঘেরা জায়গায় প্রচার করতে।” সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাসও ভোর থেকেই কর্মীদের নিয়ে হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁর কথায়, যতক্ষণ গরম সহ্য করা যাচ্ছে টুপি মাথায় প্রচার চালাচ্ছি। না পারলে গাছতলায় বসে একটু বিশ্রাম করে নিচ্ছি।”

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচার কর্মসুচীর জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলগুলিই এখন বিকেলে পথসভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করছে। কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ জানান, তীব্র গরমে রাজনৈতিক দলগুলি বিকেল-সন্ধ্যায় বেশি সভা করছে। বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন