দলে কোন্দলের জেরে ঢুকতে বাধা প্রার্থীকে

নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েই প্রচার করতে পারলেন না বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা। মঙ্গলবার সকালে বিধায়ক বনমালী হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে ভাতারের গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। ১০টা নাগাদ গ্রামে ঢোকার মুখে প্রায় ৫০ জন দলীয় সমর্থক প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় অযোগ্য লোকেদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৪১
Share:

প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজের দলের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েই প্রচার করতে পারলেন না বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে বিধায়ক বনমালী হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে ভাতারের গ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। ১০টা নাগাদ গ্রামে ঢোকার মুখে প্রায় ৫০ জন দলীয় সমর্থক প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় অযোগ্য লোকেদের ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই লোকদের পক্ষে বুথে এজেন্ট দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া দলের নিচুতলার কর্মীদের প্রচারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও তাঁরা দাবি তোলেন। তাঁরা জানান, ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেদের বাদ না দিলে ওই গ্রামে প্রার্থীকে প্রচার করতে দেবেন না তাঁরা। বিক্ষোভে পড়ে মমতাজও আর গ্রামে ঢোকেন না। আমারুন ২ পঞ্চায়েতের ওই এলাকার অন্য গ্রামে প্রচার সেরে ফিরে আসেন।

ক্লিক করুন

Advertisement

ভাতারের বিধায়ক তথা মমতাজের প্রচারসঙ্গী বনমালী হাজরার অবশ্য দাবি, “ওই গ্রামে ঢোকার মুখে একটু বিক্ষোভের মতো হয়। আমাদেরই কিছু লোক বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের কী ক্ষোভ ছিল জানিনা। তবে আমরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে না পড়ে ওই গ্রামে প্রচার করিনি। অন্যদিন প্রচার হবে বলে চলে এসেছি।” তাঁর দাবি, “কী করব? সামনে ভোট, কোনও প্ররোচনায় পা দিতে তো পারব না!”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের দুই নেতা বনমালি হাজরা ও মানগোবিন্দ অধিকারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। মাঝেমধ্যে সংঘর্ষও বাধে। মানগোবিন্দবাবুর গোষ্ঠী সূত্রের খবর, এ দিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নয়। বিধায়ক বনমালীবাবুর বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ওই গোষ্ঠীর একাংশ কর্মী সমর্থক। তাঁদের অভিযোগ, বিধায়কই দলের এমন কিছু লোককে ভোট করানোর দায়িত্ব দিয়েছেন, যাঁরা নেহাতই অযোগ্য। তাঁরা প্রার্থীকে বলেন, বিধায়ককে ছাড়া আপনি একা গ্রামে প্রচারে আসুন। কোনও সমস্যা হবে না। বিক্ষোভকারীরাই প্রচারে অংশ নেবেন। মানগোবিন্দ অধিকারি অবশ্য বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তাই ঠিক কী ঘটেছে তা বলতে পারব না।”

দলের উপরমহল থেকে বারবার যেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে প্রার্থীকে জেতানোয় জোর দিতে বলা হচ্ছে সেখানে কোন্দলের জেরে প্রচারই পিছিয়ে গেল, এ বিষয়ে বর্ধমানের জেলা তৃণমূল গ্রামীণের সভাপতি স্বপন দেবনাথকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখনও জানিনা কী ও কেন ঘটেছে। তবে ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি।” তবে তৃণমূলের প্রার্থী মমতাজ সঙ্ঘমিতা কিংবা তাঁর এজেন্ট, জেলা তৃণমূল নেতা অরূপ দাস কেউই ফোন ধরেননি। পরে অরূপবাবু বলেন, “ওখানে দলের বিরুদ্ধে বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারও কোনও ক্ষোভ নেই। যা ঘটেছে তা নেহাতই ব্যক্তিগত ঝগড়া।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন